গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে সাময়িকভাবে রক্ষা পেতে অনেক যাত্রীই অ্যাপ ক্যাবে এসিতে যাতায়াত করতে চাইছেন। কিন্তু, প্রায় ৮০ শতাংশ ক্যাব চালক এসি চালাতে অস্বীকার করছেন। যার ফলে যাত্রীদের সঙ্গে ক্যাব চালকদের বচসা লেগেই রয়েছে। ক্যাপ চালকদের দাবি ছিল ভাড়া না বাড়ালে তাদের পক্ষে এসি চালানো সম্ভব নয়। কিন্তু, ভাড়া বেড়েছে তারপরেও এসি চালাতে অস্বীকার করছেন ক্যাব চালকরা।
যাত্রীদের অভিযোগ, বেশি টাকা ভাড়া দিয়েও অ্যাপ ক্যাবে এসি চালানো হচ্ছে না। যদিও এসি না চালানোর জন্য একাধিক কারণ জানাচ্ছেন ক্যাব চালকরা। তাদের বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকেই চিকিৎসকরা গাড়িতে এসি বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রে জানানো হয়েছিল, গাড়ির মতো ছোট জায়গায় এসি চালালে করোনা সংক্রমণের ভয় বেশি থাকে। এরপরেই গাড়ির ভিতরে চালকদের আসন থেকে যাত্রীদের বসার জায়গা পুরোপুরি আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল। মোটা প্লাস্টিকের চাদরে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই এসি বন্ধ রয়েছে ক্যাবে।
চালকদের আরেকাংশের বক্তব্য, প্লাস্টিকের মোটা চাদর দিয়ে গাড়ির ভিতরে ঘিরে দেওয়ায় এসির ডাক্টগুলি ঢাকা পড়েছে গাড়ির পিছনের দিকে শুধুমাত্র একটি ডাক্ট খোলা থাকছে। কিন্তু, এর মাধ্যমে ঠান্ডা হওয়া পিছনে বসে থাকা যাত্রীর কাছে পর্যাপ্তভাবে না পৌঁছনোর ফলে থাকে যাত্রীর যাত্রা কোনওভাবেই আরামদায়ক হবে না। তাই এসি তারা বন্ধ রাখছেন। যদিও অনেক যাত্রী জোরাজুরি করলে সে ক্ষেত্রে এসি চালিয়ে দেওয়া হয় বলেই জানাচ্ছেন চালকদের একাংশ। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে এসি চালাতে অস্বীকার করছেন বহু ক্যাব চালক।