বিসর্জনের সময় বাবুঘাটে দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় পুরসভার পে-লোডার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় এই বিপত্তি ঘটে। ঘটনা বেশ কয়েকজন আহত হন। এদিকে এই দুর্ঘটনার জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে আসা পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বচসা বাঁধে পুরকর্মীদের। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। পরে দুই পক্ষকে বুঝিয়ে শুনিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্র্ণে আনা হয়।
জানা যায়, গতকাল দুপুরে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় পুরসভার একটি পে-লোডার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘাটের নিচে পর্যন্ত নেমে আসে। সেই সময় প্রতিমা বিসর্জন দিচ্ছিলেন অনেকেই। বেশিরভাগই বাড়ির পুজোর বিসর্জন চলছিল সেই সময়। তখনই পে-লোডারের ধাক্কায় পুজো উদ্যোক্তাদের অনেকে আহত হন বলে জানা যায়। গুরুতরভাবে আহত হয় এক শিশু। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রতিমা নিরঞ্জন করতে আসা মানুষজন। চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও খালাসি চম্পট দেয়। এরপর কর্তব্যরত পুরকর্মীদের সঙ্গে বচসা বাঁধে। পরে এক বারোয়ারি পুজোর সদস্যরা পে-লোডার চালককে বাঁচান।
এদিকে দুর্ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নেন মেয়র। ঘটনা প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘চাকা স্কিড করে যায়, তাই দুর্ঘটনা। বাচ্চাটির অল্প চোট লেগেছে। তবে গুরুতর কিছু হয়নি। সমন্বয়ের অভাবের কোনও ব্যাপার নেই।’ দুর্ঘটনার পর স্পিড বোটে করে বাবুঘাটের চারপাশ ঘুরে দেখেন মেয়র। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয় বাবুঘাটে। ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। জানানো হয়, বাড়ি হোক বা বারোয়ারি, ৬ জনের বেশি মানুষকে ঘাটে নামতে দেওয়া হবে না।