পরিচিত এক রোগীর অক্সিজেনের দরকার ছিল। সেজন্য ডাক্তারের খোঁজে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের উপরের তলে উঠেছিল। এমনই দাবি করল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, সঞ্জয় দাবি করেছে যে ডাক্তারের খোঁজে সেমিনার রুমে ঢুকেছিল। আর সেখানে ঢুকে একজনকে পড়ে থাকতে দেখেছিল। তাঁকে ধাক্কা মারার পরেও সাড়া না পাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। আর ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেছে সঞ্জয়। যদিও সূত্রের খবর, সঞ্জয়ের সেই দাবি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের মনে।
‘কাকতলীয়ভাবে সেমিনার হলে’, দাবি সঞ্জয়ের
সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিবিআই আধিকারিকদের কাছে সঞ্জয় দাবি করেছে যে সেই রাতে (৮ অগস্ট ও ৯ অগস্টের সংযোগকারী রাত) আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার হলে যাওয়ার কথাই ছিল না। কাকতলীয়ভাবে সেমিনার হলে ঢুকে পড়েছিল বলে দাবি করেছে সঞ্জয়।
সিবিআইয়ের সূত্র উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার দাবি করেছে যে সেদিন তার এক পরিচিত রোগীর অক্সিজেন লাগত। তাকে যাতে অক্সিজেন দেওয়া যায়, সেজন্যই ডাক্তারের খোঁজ করছিল সে। আর ডাক্তারের খোঁজ করতে-করতেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের উপরে গিয়েছিল। সেইসময় গেটে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না। তাকে কেউ আটকায়নি। বিনা বাধায় গিয়েছিল বলে দাবি করেছে সঞ্জয়।
ভয় পেয়ে পালাতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিল ব্লুটুথ, দাবি সঞ্জয়ের
সূত্রের খবর, সিবিআই গোয়েন্দাদের কাছে সঞ্জয় দাবি করেছে যে সেমিনার হলে ঢুকে দেখেছিল যে একজন পড়ে আছেন। তাঁকে ধাক্কা মেরেছিল। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ না করায় ভয় পেয়ে গিয়েছিল সঞ্জয়। পালানোর সময় কোনও একটা বস্তুতে হোঁচট খেয়েছিল। আর তার জেরে ব্লুটুথ ডিভাইস পড়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেছে সঞ্জয়। যে ব্লুটুথ ডিভাইসের সূত্র ধরেই সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ।
তরুণী চিকিৎসককে চিনত না, দাবি সঞ্জয়ের
সূত্রের খবর, সঞ্জয় দাবি করেছে যে তরুণী চিকিৎসককে চিনত না সে। যদিও সিবিআইয়ের হাতে যে সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে যে ৮ অগস্ট সকাল ১১ টা নাগাদ ওই তরুণী চিকিৎসকের দিকে তাকিয়েছিল সঞ্জয়। সেইসময় তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে আরও চারজন জুনিয়র ডাক্তার ছিল বলে সূত্রের খবর।