জেলের ভিতর আত্মহত্যা করলেন পর্ণশ্রী জোড়া খুন কাণ্ডে অভিযুক্ত যুবক। কিন্তু এই আত্মহত্যার পিছনে কারণ কী থাকতে পারে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে পুলিশ।
গত শুক্রবার দোলের দিন প্রেসিডেন্সি জেলে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাথরুমে গিয়ে আঁতকে ওঠেন এক বন্দি। তিনি দেখেন গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে বেহালার পর্ণশ্রী জোড়া খুন কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জয় দাস। সঙ্গে সঙ্গে ওই বন্দি অন্যান্যদের বিষয়টি জানায়। কারারক্ষীদের খবর দেওয়া হয়। দেহটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হেস্টিংস থানা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় সঞ্জয়ের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। এরপর দেহটিকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কিন্তু কেন আত্মহত্যা করলেন সঞ্জয়? এর পিছনে কী দিদি ও ভাগ্নেকে খুন করার জন্য অনু্শোচনা কাজ করেছিল, সেই উত্তরই খুঁজছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বেহালার পর্ণশ্রীতে গোপাল মিস্ত্রি রোডের ফ্ল্যাটে সুস্মিতা মণ্ডল ও তাঁর ছেলে তমোজিৎ মণ্ডলকে গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এই ঘটনার ৭ দিনের মধ্যেই মাসতুতো ভাই সঞ্জয় দাস ও সন্দীপ দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সঞ্জয় আত্মঘাতী হলেও এখনও জেলে বন্দি সন্দীপ দাস। প্রাথমিক তদন্তে জেলের অন্যান্য বন্দিদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই মনমরাই ছিল সঞ্জয়। এই ধরনের ঘটনায় হয় যাবজ্জীবন না হলে ফাঁসি হতে পারে, এমনই আশঙ্কা তার মনে ছিল। সেই আশঙ্কা থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল সঞ্জয়।