নবান্ন অভিযানে বেরিয়ে বিজেপির নেতা কর্মীরা গতকাল রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। শুভেন্দুর গ্রেফতারির বিরোধিতায় নবান্ন অভিযান একটা সময় কার্যত লালবাজার অভিযানে পরিণত হয়েছিল। লালবাজারের পাশেই মহাত্মা গান্ধী রোডে পুলিশের গাড়িতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগুন। বহু পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের প্রহারে। তাঁদেরই মধ্যে একজন মধ্য কলকাতার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তাঁর একটি হাত ভেঙে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আজ তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেবজিৎবাবুর উপর বিজেপি কর্মীদের হামলার ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে মাথায় হেলমেট আর পুলিশের পোশাক পরে আছেন দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আচমকাই বিজেপির উত্তেজিত কর্মীরা তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। এরপর শুরু হয় মার। প্রথমে পতাকার লাঠি উঁচিয়ে শুরু হয় মার। তিনি কোনওরকমে হেলমেট চেপে ধরে মাথা বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও রেহাই পাননি তিনি। ৭-৮জন বিজেপি কর্মী তাঁকে রাস্তার ধারে রেলিংয়ের পাশে ঘিরে ধরেন।
ভিডিয়োতে দেখা যায়, এসিপি সেখান থেকে ছুটে পালানোর চেষ্টা করলে ফের একজন বিজেপি কর্মী পেছন থেকে তাঁর ইউনিফর্ম চেপে ধরেন। এরপর ফের শুরু হয় মার। পেছনে ছুটতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। একটা সময় তিনি রাস্তায় পড়ে যান। তখন ফের তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত কোনওরকমে তিনি সেখান থেকে উঠে পালাতে সক্ষম হন। পরে দুজন এসে তাঁকে ঘিরে ধরে বের করার চেষ্টা করেন। তখনও দেখা যায় পেছন থেকে একজন লাথি মারার চেষ্টা করছেন। পরে বিজেপির এই ‘তাণ্ডব’ নিয়ে সরব হয়ে টুইট করেছিলেন অভিষেক। এই পরিস্থিতিতে আজ তিনি জখম পুলিশ কর্তার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন হাসপাতালে গিয়ে।