এপ্রিল মাসে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তাই শিল্পপতিদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গে গিয়েও বণিকসভা থেকে শিল্পপতি—প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং বিনিয়োগের আহ্বান করেছেন। মুম্বইতেও গিয়ে এই কাজ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ তৃতীয়বার জিতে আসার পর মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য শিল্প এবং কর্মসংস্থান। এই পরিস্থিতিতে নবান্নের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করল আদানি গোষ্ঠী। বৃহস্পতিবারই নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর এক শীর্ষ আধিকারিক বৈঠক করেন বলে সূত্রের খবর। শুক্রবার আরও একটি বৈঠক রয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, তাজপুর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ, শুক্রবার ফের বৈঠক হতে চলেছে। সম্প্রতি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন গৌতম আদানি। তারপর তাঁর ছেলে তথা আদানি পোর্টের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার করণ আদানি বৈঠক করেন। এবার এলেন দূত খবর নিয়ে।
এদিকে তাজপুরের সমুদ্রবন্দর গড়তে আগ্রহপত্র চেয়েছিল নবান্ন। সেই আগ্রহপত্র পেশ প্রক্রিয়ার বর্ধিত মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যা হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত দু’টি বড় সংস্থা এই ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে একটি সংস্থা আদানি গোষ্ঠীর। আর একটি জানানো হয়নি। সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য দরপত্র চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যেই সেখানে পরিদর্শন করে গিয়েছেন আদানি শিল্পগোষ্ঠীর কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ–সহ ত্রিপুরা, অসম, মিজোরাম এবং একাধিক রাজ্যে বাণিজ্যের মূল প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে এই তাজপুর বন্দর। পলি পড়ে যাওয়ায় হলদিয়া বন্দরে বড় জাহাজ ঢুকতে পারছে না। রাজ্য সরকার আগেই জানিয়েছে, তাজপুরে বন্দর পরিকাঠামো গড়তে তাদের হাতেই রয়েছে প্রায় এক হাজার একর জমি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গৌতম আদানির দেখা হওয়ার পর টুইটে আদানি জানিয়েছিলেন, বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত থাকার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।