বড়সর ধাক্কার মুখে আদানি গ্রুপ। এদিকে সেই পরিস্থিতিতে এবার তাজপুর বন্দর নিয়ে বড় উদ্বেগের কথা প্রকাশ করলেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন,আমরা সকলেই জানি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর (আদানি) সঙ্গে একটা গোপন আঁতাঁত করেছিলেন। আমি তাজপুর বন্দর নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। ২৫,০০০ কোটি বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। ১০ লাখ চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতির এবার কী হবে? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তবে ইতিমধ্য়েই আদানি ইস্যুর আঁচ পড়েছে সংসদে। আদানির নামে প্রয়োজনে লুক আউট নোটিশ জারির ব্যাপারেও সরব হয়েছেন তৃণমূলের এক সাংসদ। কিন্তু বাংলায় সবথেকে বড় প্রশ্ন তাজপুর বন্দরের কী হবে?
এদিকে তাজপুর বন্দরকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই নানা টানাপোড়েন চলছে। বিগত দিনে নিউ টাউনের ইকো পার্কে গৌতম আদানির পুত্র কিরণ আদানির হাতে তাজপুর বন্দরের কাজ শুরুর অনুমতিপত্র তুলে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর এনিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।
সেই সময় বলা হয়েছিল পনেরো হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে তৈরি এই বন্দরের প্রাথমিকভাবে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করবে রাজ্য় সরকার। সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি বিনিয়োগে তৈরি হবে এই সমুদ্র বন্দর। প্রত্য়ক্ষভাবে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের কথাও বলা হয়েছিল সেই সময়। সেই কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তবে বিগত দিনে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির নামে জনগণকে ঢপ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বন্দরের কাজ শুরুর অনুমতিপত্র আদানিদের হাতে তুলে দেওয়ার পর এমনটাই প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর বর্তমানে সেই আদানির জাহাজ যখন টলমল তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে তির ছুঁড়লেন শুভেন্দু অধিকারী।
সেই সময় তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, রাজ্য সরকার তো নীতিগতভাবে বেসরকারি সংস্থার জন্য জমি অধিগ্রহণের বিরোধী। তাহলে ৫০০০ একর জমি অধিগ্রহণ করবে কে? সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন,একেবারে ঢপের চপ। আমি বারে বারে বলি একটি গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করতে গেলে সেখানে লক গেট হবে তার পাশে ন্যূনতম ৫০০০ একর জমি লাগে। চার লেনের জাতীয় সড়ক লাগে। রেলের লাইন লাগে। রেল লাইন হল না, জাতীয় সড়কের কাজ শেষ হল না…