কেইআইআইপি প্রকল্পে এর আগে কলকাতা পুরসভার বেহালা, ঠাকুরপুকুর, হরিদেবপুর, কুঁদঘাট, টালিগঞ্জ, গড়িয়া, যাদবপুর প্রভৃতি অঞ্চলে নিকাশি উন্নয়নের কাজ করেছে। এইসব এলাকায় নিকাশি উন্নয়নের জন্য পাকা ড্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় সেই কাজ এখনও চলছে। তার মধ্যেই তৃতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এরজন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি)। এই অর্থে সংযুক্ত এলাকার ১২টি ওয়ার্ডে নিকাশি উন্নয়নের কাজ করা হবে।
আরও পড়ুন: কলকাতার মাটির নিচে কোথায় নিকাশি নালা রয়েছে? জানাবে ডিজিটাল ম্যাপ
পুরসভা সূত্রে খবর, মূলত পশ্চিম চৌবাগা, হোসেনপুর, মাদুরদহ, নয়াবাদ, মুকুন্দপুর, গার্ডেনরিচ, জোকা, সরশুনা এবং বেহালা অঞ্চলের বাকি ওয়ার্ডগুলিতে নিকাশা ব্যবস্থাকে উন্নত করা হবে এই প্রকল্পে। এর জন্য ২৫০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি। আগামী তিন বছরের মধ্যে এই সমস্ত এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার কাজ সম্পন্ন করা হবে। আর এই কাজ সম্পূর্ণ হলে কলকাতার আর কোনও অংশে খোলা ড্রেন বা নর্দমা থাকবে না।
জানা গিয়েছে, কেইআইপির ফেজ থ্রি প্রকল্পের অধীনে এই কাজ করা হবে। ইতিমধ্যেই এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের সঙ্গে এডিবির চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। সেই চুক্তি মতো ২,৫০০ কোটি টাকা ঋণ দিতে রাজি হয়েছে এডিবি। জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পের আওতায় ওয়ার্ডগুলির যেসব রাস্তায় নিকাশি ব্যবস্থা নেই সেগুলিতে পাকা ড্রেন তৈরি করা হবে। আবার যেখানে কাঁচা ড্রেন রয়েছে সেগুলি পাকা করা হবে। তারপর ড্রেনগুলি ঢাকা থাকবে। আর নর্দমা থেকে জল পরিশ্রুত করে ফেলা হবে গঙ্গায়। তার জন্য তার আগে সেই জল পরিশ্রুত করা হবে। এজন্য আরও পাঁচটি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই তার জন্য জায়গা চিহ্নিত হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, গত নভেম্বর মাসে এই কাজের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। সেক্ষেত্রে এডিবি এবং পুরসভার শর্ত পূরণ হলেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে বেছে নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকেই এই কাজ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে কেইআইপি কাজ করলেও পুরসভার টিম তদারকি করবে। কাজের গুণগত মান খতিয়ে দেখবেন পুরসভার আধিকারিকরা। পাশাপাশি অন্য কোনও সংস্থাকেউ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এর পাশাপাশি নর্দমার জন্য কোথায় কোন ধরনের পাইপ বসানো হবে আয়তন কত হবে, কোন পাম্পিং স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত হবে বা কোন খালে গিয়ে সেই পাইপের জল পড়বে সেই পরিকল্পনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।