আগামী বাদল অধিবেশনে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এর আগে পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের কেন এখনও নাগরিকত্ব দেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এবার যে আইনের গেরোয় এই নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি আটকে রয়েছে, সেই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার আর্জি জানালেন অধীরবাবু।
আগের চিঠির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী লিখেছেন, ‘দুই বছরেরও বেশি সময় হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা কার্যকর করা গেল না। যেহেতু এই আইন অসাংবিধানিকভাবে তৈরি করা হয়েছে, তাই এই আইন কার্যকর করা যাচ্ছে না। এই কারণেই পাকিস্তান থেকে আগত শরণার্থীদের আবার ফিরে যেতে হচ্ছে। আশাহত ও হতাশাগ্রস্ত হয়েই তাঁরা ফিরে যাচ্ছেন।’ একইসঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমালোচনা করেই অধীরবাবু চিঠিতে লেখেন, ‘একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে নিশানা করেই আইনটি তৈরি করা হয়েছে। এটি আমাদের সংবিধানের মৌলিক বৈশিষ্ট্যের পরিপন্থী। সংবিধান আমাদের অধিকার দিয়েছে, নিজে বাঁচা ও অন্যকে বাঁচতে দেওয়ার। যেহেতু এই আইন একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে নিশানা করে করা হয়েছে, তাই এই আইন আমাদের বিচার ধারার সঙ্গে খাপ খায় না।’ চিঠির শেষে কংগ্রেস সাংসদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান যেন আসন্ন বাদল অধিবেশনে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
কংগ্রেস সাংসদের এই চিঠি থেকেই স্পষ্ট, আগামী বাদল অধিবেশনে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে বিরোধীরা। তারই প্রথম ধাপ হিসাবে অধীরবাবুর এই চিঠি। করোনা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আগে এই আইনের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। বিরোধী সব রাজনৈতিক দলই আন্দোলনে নেমেছিল। খোদ রাজধানী দিল্লির বুকে শাহিনবাগে সিএএ–এর বিরোধিতায় দীর্ধদিন ধরে আন্দোলন চলেছে। এবার কী তাহলে সিএএ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নামবেন বিরোধীরা? সেটাই এখন দেখার।