তিনি বিধায়ক। তবে তাঁর অন্য় একটি পরিচয়ও আছে তাঁর। তাঁর গানের গলা খুব মিষ্টি। ভালো গান করেন তিনি। তাঁর গলায় ভক্তিগীতি শুনে মুগ্ধ হয়ে যান শ্রোতারা। তিনি অদিতি মুন্সি। বৃহস্পতিবার একেবারে অন্য় মেজাজে দেখা গেল সেই বিধায়ককে। বসন্ত এসে গেছে। দুয়ারে দোল উৎসব। আকাশে- বাতাসে রঙিন আহ্বান। আর সেই রঙের উৎসবের প্রাক মুহূর্তে গানে গানে ভরিয়ে দিলেন অদিতি মুন্সি। স্পিকারের অনুরোধ ফেলতে পারেননি তিনি। বিধানসভা সদনে গান গাইলেন অদিতি। তাঁর গলায় শোনা গেল সেই চির পরিচিত গান, ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল…। একেবারে দোলের আহ্বান করলেন অদিতি। গান শুনে মুগ্ধ অন্যান্য বিধায়করা। তবে শুধু স্পিকারই নন। এর আগে খোদ মুখ্যমন্ত্রীও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য অদিতিকে অনুরোধ করেন। এবার স্পিকারের অনুরোধে গান গাইলেন অদিতি।
এদিকে স্পিকার বলেন,আজ আবার লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়ার দিন। একদিকে লক্ষ্মী পুজো। অন্য়দিকে দোল। মনে করিয়ে দিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়। আর স্পিকারের কথার রেশ ধরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, আসল লক্ষ্মী তো আমাদের এখানে বসে আছেন। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে এসবের মধ্যেই অর্থ দফতরের সাপ্লিমেন্টারি বাজেটের জবাবি ভাষণ না শুনেই বিধানসভা থেকে চলে গেলেন বিজেপি বিধায়করা। এতে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কাল যে দোল। রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেও অদিতির গানের রেশ থেকে গেল বিধানসভা জুড়েই।