সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতর থেকে বেরোলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। এদিনই তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে শিক্ষকতার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর এতদিনের বেতন ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। অন্য়দিকে এদিনই সিবিআই দফতরে একেবারে ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েন পরেশ অধিকারী। এরপর রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তিনি বের হন সিবিআই দফতর থেকে। কিন্তু তিনি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি।
সূত্রের খবর, কার মাধ্যমে হয়েছিল অঙ্কিতার নিয়োগ?এর পেছনে কোন অদৃশ্য হাত ছিল? এনিয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। মূলত তিনি দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বাম জমানাতেও মন্ত্রী ছিলেন। সেক্ষেত্রে এত বড় অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে কেন তাঁর মনে প্রশ্ন এল না সেব্যাপারেও তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়।
এদিকে সূত্রের খবর রাতে তিনি এমএলএ হস্টেলেই থাকছেন। কাল ফের তাঁকে সিবিআই তলব করা হতে পারে। সব মিলিয়ে কন্যার চাকরি ইস্যুকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট বিপাকে তৃণমূল মন্ত্রিসভার এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। মেয়েকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পরেও যে তিনি সহজে রেহাই পাবেন না এটাও আঁচ করতে পারছেন অনেকে। তবে পরেশ অধিকারীকে সিবিআই জেরা প্রসঙ্গে মেখলিগঞ্জেও ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকেই এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন। বামফ্রন্ট মন্ত্রীর ইস্তফা চেয়ে এলাকায় মিছিল করেছে।