একুশের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের স্লোগান ছিল ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’। আর তাতে ব্যাপক সাফল্য আসে নির্বাচনে। দুশো আসন পার করে হ্যাট্রিক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই স্লোগানকেও ছাপিয়ে গেল ট্যুইটারের ট্রেন্ডিং। #ইন্ডিয়াওয়ান্টসমমতাদি ট্রেন্ডিংয়ে উত্তাল হয়ে উঠল সোশ্যাল মিডিয়ার ময়দান। অর্থাৎ ভারত মমতা দিদিকে চাইছে বলে ট্রেন্ড হচ্ছে টুইটারে। আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ করেই লড়তে চাইছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নেতৃত্ব দিতে পারেন এই বিশ্বাস জন্মেছে নেটিজেনদের একাংশের মতে। আর তা থেকেই এই স্লোগান ট্রেন্ডিংয়ে পরিণত হয়েছে।
সিপিআইএমের ৩৪ বছরের শাসন শেষ করে ২০১১ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াকু মনোভাবই বাংলা–সহ গোটা ভারতের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বেশ পছন্দের। একদা বাম শাসনকে হারানো নেত্রীকে নিয়েই বাংলা দখলের পর ভারত দখলের স্বপ্ন দেখছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকরা। কিন্তু আদৌ কি সেটা সম্ভব? একাধিক বিশ্লেষণ থাকতে পারে তা নিয়ে। কিন্তু আপাতত এটাই ট্রেন্ডিং।
একুশের নির্বাচন সরাসরি জায়গা করে নিয়েছিল মমতা–মোদীর মধ্যে। সেখানে বিজেপিকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তৃণমূল সুপ্রিমোর জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি। যদিও গতবারের বিধানসভার তুলনায় অনেক আসন বেশি পেয়েছে বিজেপি। তবুও গেরুয়া শিবির তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ক্ষতিই করতে পারেনি। বরং বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা অনেকে বলছেন গ্লোরিয়াস ভিকট্রি।
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে শিবসেনা, আরজেডি, এনসিপি, সমাজবাদী পার্টি–সহ একাধিক আঞ্চলিক দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছিল রাজ্যবাসীকে। এখন প্রশ্ন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও কি জোট দেখা যাবে অবিজেপি দলগুলির মধ্যে? আর সেই জোটের মুখ হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? সেই বার্তায় কি দিচ্ছে ট্যুইটারের আগাম ট্রেন্ডিং? এইসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে সময় হলে।