ভবানীপুরের উপনির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে পারছেন না বিজেপির বঙ্গ–নেতারা। কারণ এই রেকর্ড মার্জিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় আটকানোই ছিল তাঁদের রণকৌশল। কিন্তু তা মানুষের ব্যাপক সমর্থনে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের গোহারা বঙ্গ–নেতাদের অঙ্গ–শোভায় চুনকালি লেপে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যেরকম আশা করা হয়েছিল, সেরকমই হয়েছে। আমরা তো কখনও জিতিনি ওখানে। লড়াই দিয়েছি আমরা।’ এই মন্তব্য একটা ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর সুরে কথা বললেও মনের অসন্তোষেরও বহিঃপ্রকাশ করেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ। তাঁর দাবি, ভবানীপুরে নির্বিঘ্নে ভোটের পরিবেশ ছিল না। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেভাবে ভয়ের পরিবেশে ভোট হয়েছে, বিরোধীদের আটকানোর চেষ্টা হয়েছে, তাতে সেই মতোই ফল হয়েছে। লিড বেশি হয়েছে একটু। আমরা ভেবেছিলাম লিড কম হবে একটু। কিন্তু মানুষ ভয়ে ভোট দিতে বেরোতে পারেননি। তাই লিড বেশি হয়েছে।’
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। জিতলেই পরিবেশ ছিল। আর হারলেই পরিবেশ নেই। ওদের কথা মানুষ আর বিশ্বাস করে না। কেন্দ্রীয় সরকারে থেকে বাংলাকে বঞ্চনা করেছে। তাতে হারবে না তো কি বিপুল ভোটে জিতবে!’ নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫৮৮৩৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন ভবানীপুরে। এই বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমাদের ভবানীপুরে সংগঠনের দুর্বলতা ছিল। ভোটে জেতার জন্য যে সংগঠনের প্রয়োজন হয় সেটা আমাদের ছিল না।’
এখন যা বিজেপি নেতারা বলছেন সেগুলি সবই পূর্বপরিকল্পিত ছিল। সূত্রের খবর, বিজেপি নেতার সমীক্ষা করে জেনেছিল খেলার ফলাফল ৩–০ হবে। তখন প্রকাশ্যে কি বলা হবে ঠিক হয়ে যায়। অর্জুন সিংকে পর্যবেক্ষক করেও লক্ষ্যভেদ করা যায়নি। তাই এখন হিংসার পরিবেশ, ছাপ্পা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন কাজ করেনি–সহ নানা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এগুলি বলা হবে বলে আগেই থেকেই ঠিক করা হয়েছিল।