রাজ্যের দুই উপনির্বাচনেও পরাজয়ের মুখ দেখল বিজেপি। আর তাতেই বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এল। বিজেপির বেশকিছু সদস্য সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দায়ী করেছেন প্রার্থীদের ব্যর্থতার জন্য। বালিগঞ্জে গোহারা হয়েছে বিজেপি। আসানসোলে একই অবস্থা। যদিও খানিকটা লড়াই করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। তবে বালিগঞ্জে বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই নিয়ে বিজেপির আদি নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলার নেতৃত্বকে তোপ দেগেছেন। সেখানে নিশানা করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার–সহ বেশ কয়েকজনকে।
বিজেপির হয়ে এই দুই কেন্দ্রে প্রচার করেছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা। আর এঁদের সঙ্গে এখন লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং দিলীপ ঘোষদের দূরত্ব বেড়েছে। লকেট সরাসরি বিদ্রোহ করেছিলেন দলের অন্দরে। সেখানে এই ফলাফলের জন্য তাঁরা সুকান্ত–শুভেন্দুকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তাঁরা বলে সূত্রের খবর। তাই উপনির্বাচনের তারকা প্রচারকদের তালিকায়ও ছিলেন না লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং দিলীপ ঘোষ। এই পরাজয়ের জন্য দুর্বল সংগঠনকেই তাঁরা দায়ী করেছেন। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী ঘটেছে বিজেপির অন্দরে? আজ, শনিবার উপনির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পর বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। একটি টুইটে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, অমিত মালব্যদের নাম উল্লেখ করে তুলোধনা করেছেন দলের বেশ কয়েকজন নেতা। এমনকী ফলাফল নিয়ে অগ্নিমিত্রা পালও টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। এই পরাজয়ের জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন।
সূত্রের খবর, একের পর এক পরাজয় নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেওয়া হবে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, অমিত মালব্য–সহ সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের নামও থাকবে। সংগঠন না বুঝেই তাঁরা কাজ করছেন বলে অভিযোগ করা হবে। কয়েকদিন পর রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। সেখানেই এই রিপোর্ট তুলে ধরা হবে।