জয়গনরের নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শুক্রবার ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে বারুইপুর পকসো আদালত। অভিযুক্ত মুস্তাকিন সরদারকে বৃহস্পতিবারই দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। ঘটনার ৬২ দিনের মাথায় দোষীর সাজা ঘোষণা হওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ধর্ষণের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই ভাবে দ্রুত ও কড়া বিচারের পক্ষে সওয়াল করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শাসকের এই প্রতিক্রিয়া নির্বুদ্ধিতার পরিচয় বলে দাবি করেছেন রাজ্যসভার বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। একই সঙ্গে জয়নগরের ঘটনার সঙ্গে আরজি করের ঘটনাকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শুক্রবার টেলিফোনে বিকাশবাবু বলেন, ‘আরজি করের ঘটনার সঙ্গে জয়নগরের ঘটনার তুলনা করা মানে বাজারের আলুর সঙ্গে আকাশের চাঁদের তুলনা। আরজি করের ঘটনা ঘটেছে সরকারি হাসপাতালে। সেখানে অভিযুক্ত সরকারি সিভিক ভলান্টিয়ার। সেখানে সরকার নিজের পিঠ বাঁচাতে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছে তাও তদন্তে স্পষ্ট। নইলে টালা থানার ওসিকে এতদিন জেলে আটকে রাখত না পুলিশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আরজি করের ঘটনা প্রমাণ করা অনেক কঠিন। কারণ সেখানে কেউ ঘটনা ঘটতে দেখেনি। জয়নগরের ঘটনায় মেয়েটিকে অভিযুক্তের সঙ্গে লোকে দেখেছে। তার গতিবিধি সম্পর্কেও সবাই অবহিত ছিল। সাক্ষপ্রমাণ ছাড়া সাজা হয় না।’
তিনি বলেন, ‘কামদুনিতে নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজা হয়েছিল। হাইকোর্ট প্রমাণের অভাবে সেই সাজা মকুব করে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আরজি কর কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে হয়েছে যে ধর্ষক ও খুনির ফাঁসি হওয়া উচিত। কিন্তু জয়নগর কাণ্ডে তাঁর পুলিশ যে গতিতে কাজ করেছে তা নিয়ে উচ্চতর আদালতে প্রশ্ন উঠতে পারে। শুধু কি দোষীকে সাজা দেওয়া, না কি আরজি কর কাণ্ডে জনরোষ কমাতে প্রশাসন যে অতিতৎপরতা দেখিয়েছে তাতে বিচারপ্রক্রিয়ার সমস্ত ধাপ সঠিক ভাবে পালিত হয়েছে কি না সেই প্রশ্নও থাকবে।’