দুর্নীতি করতে তৃণমূলের মন্ত্রীরা কতটা বেপরোয়া তা ফের একবার উঠে এল আদালতে ইডির সওয়ালে। শুক্রবার রেশন দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূল নেতা আনিসুর ও তাঁর ভাই আলিমকে আদালতে পেশ করে বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরল ইডি। তাদের দাবি, গ্রেফতারির পর SKKM হাসতাপালে ভর্তি থাকাকালীন মাসে মাসে রেশন দুর্নীতির লভ্যাংশ নিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই সংক্রান্ত প্রমাণ ইডির হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী।
আরও পড়ুন - শিল্প-কারখানা তৈরির জন্য ১ টাকায় জমি সৌরভকে, জনস্বার্থ মামলায় বড় রায় হাইকোর্টের
পড়তে থাকুন - হামলা সত্ত্বেও সীমান্তে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রুখলেন মহিলা BSF কনস্টেবল
সোমবার রেশন দুর্নীতি গ্রেফতার তৃণমূলের দেগঙ্গা ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান ও তাঁর দাদাকে আলিম নুরকে আদালতে পেশ করে ইডি। সেখানে তাঁদের সঙ্গে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কথা তুলে ধরেন ইডির আইনজীবীরা। আনিসুর ও আলিমের কাছ থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিভিন্ন সংস্থায় কোটি কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সওয়ালে ইডির আইনজীবী বলেন, গ্রেফতারির পর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে SSKM হাসপাতালে দীর্ঘদিন ভর্তি ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তখন আনিসুর ও আলিমকে রেশন দুর্নীতির লভ্যাংশ হিসাবে মাসে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন জ্যোতিপ্রিয়। হাসপাতালে বসে সেই বার্তা পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন মন্ত্রী। জ্যোতিপ্রিয়র হিসাব রক্ষক শান্তনু ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই সংক্রান্ত ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। সেখানে আনিসুর ও আলিফের ডাক নাম বিদেশ ও মুকুলের নামে পাওয়া গিয়েছে লম্বা হিসাব।
ইডি আদালতে দাবি করেছে, সাধারণ কৃষকের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের থেকে কম দামে ধান কিনতেন আনিসুর। তার পর নিজেদের কৃষক সাজিয়ে সেই দাম ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে বিক্রি করতেন সরকারকে। এভাবে ২ ভাই অন্তত ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে আদালতে ইডি উল্লেখ করেছেন। যার একটা বড় অংশ গিয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র বিভিন্ন সংস্থায়।
আরও পড়ুন - বাড়ির সুইমিং পুল থেকে ভ্যানিশ কচ্ছপ, আবার জামালের দুয়ারে বনকর্মীদের হতাশা
ধৃতদের ২০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ১২ অগাস্ট ফের তাদের আদালতে পেশ করতে হবে।