ভবানীপুর উপনির্বাচনে রেকর্ড মার্জিনে জিতেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতে খুশি দলের নেতা–কর্মী–সমর্থক সবাই। এই পরিস্থিতিতে এবার সামনে এলো টুইট যুদ্ধ। যার একদিকে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। অন্যদিকে রয়েছে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তারকা প্রচারক হিসেবে তালিকায় থেকেও ভবানীপুরে ছিলেন না। তাই ভবানীপুরের প্রচারের শেষ লগ্নে সেই সুযোগটা হাতছাড়া করেননি কুণাল ঘোষ। টিপ্পনী কেটেছিলেন তিনি। আর সেখান থেকে শুরু হয়েছিল দুজনের টুইট যুদ্ধ। যা তৃণমূল সুপ্রিমোর জয়ের পরও অব্যাহত রইল।
আগে কুণাল ঘোষ ট্যুইট করে লিখেছিলেন, ‘ভবানীপুরে প্রচারে না আসার জন্য তারকা প্রচারক লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। বিজেপির অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও আপনি প্রচার করেননি। আপনি যেখানেই থাকুন বন্ধু হিসাবে আপনার সাফল্য কামনা করি। এই ছোট্ট পৃথিবীতে আপনার জীবনে রাজনীতির সেই শুরুর দিনগুলি আবার ফিরে আসুক।’
তখন পাল্টা বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় লেখেন, ‘আপনার উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে ভবানীপুরের না হারেন, সে বিষয়ে মনোনিবেশ করা।’ তার পাল্টা ট্যুইট করে কুণাল লেখেন, ‘দুশ্চিন্তা করবেন না। ভবানীপুরে বড় মার্জিনে জয় পাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনিও মনে মনে তাই নিশ্চয় চান। কিন্তু তবু আপনাকে দলের পক্ষে লিখতে হচ্ছে। তবে তারপরেও আপনি যে বিজেপি প্রার্থীর নামটা উচ্চারণ করলেন না, সেই জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কাহি পে নিগাহে কাহি পে নিশানা, ওয়েলডান।’
এই নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে অনেকেই মজা নিচ্ছিলেন। এবার রবিবার ফলপ্রকাশের পরই লকেটের সেই ট্যুইট উল্লেখ করে কুণাল লেখেন, ‘সুতরাং, আমরা আমাদের কাজ করে ফেলেছি। আশা করি, আপনি খুশি এবং সন্তুষ্ট।’ তাতে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে লকেট লেখেন, ‘শেষমেশ আপনি শিখে নিয়েছেন কীভাবে নির্দেশ পালন করতে হয়। সেটা বিজেপির দিক থেকেও। এটা দেখে ভালো লাগছে। এটা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন?’ এই টুইট পাল্টা টুইটে আরও মজা বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।