বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে জোর দিতে নির্দেশ, রামপুরহাট থেকে শিক্ষা

বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে জোর দিতে নির্দেশ, রামপুরহাট থেকে শিক্ষা

বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে জোর দিতে নির্দেশ পৌঁছল প্রতিটি জেলায়। 

একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাকেও করিডরগুলির উপর নজর দেওয়ার পরমার্শ দেওয়া হচ্ছে।

রামপুরহাট কাণ্ডের সঙ্গে কী আগ্নেয়াস্ত্রের যোগ আছে?‌ এই প্রশ্ন এখন উঠচে শুরু করেছেন। কারণ উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে হত্যা করা হলেও দুষ্কৃতীদের কাছে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। তাই এবার বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে জোর দিতে নির্দেশ পৌঁছল প্রতিটি জেলায়। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাকেও করিডরগুলির উপর নজর দেওয়ার পরমার্শ দেওয়া হচ্ছে।

কেন এমন নির্দেশ দেওযা হল?‌ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আগে শুধু বিহারের মুঙ্গের থেকেই নাইনএমএম, সেভেন এমএম–সহ নানা আগ্নেয়াস্ত্র রাজ্যে ঢুকত। ইদানিং নানা চক্র ধরা পড়ায় মুঙ্গেরে কিছুটা ভাটা পড়েছে। এখন ভাগলপুর, সুলতানগঞ্জ, হাজারিবাগেও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি হচ্ছে। তাই এই এলাকাগুলি থেকেও বিপুল সংখ্যক পিস্তল বিভিন্ন জেলায় আসছে। বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদে উন্নতমানের এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি ইতিমধ্যেই মজুত হয়ে রয়েছে।

গোয়েন্দাদের নজর ঠিক কোথায়?‌ সূত্রের খবর, বীরভূমের মুরারই, ইলামবাজার, নানুর গোয়েন্দাদের আতস কাচের তলায় রয়েছে। এই এলাকাগুলিতেই আগ্নেয়াস্ত্র দুষ্কৃতীদের কাছে রয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। বিহার থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র ঢোকানোর জন্য বর্ধমানকেও করিডর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিহার থেকে দু’টি রুটে আগ্নেয়াস্ত্র আসছে। ভাগলপুর বা সুলতানগঞ্জ থেকে নাইনএমএম, সেভেন এমএম আসানসোল বাইপাস ধরে পানাগড়ে আসছে। আগ্নেয়াস্ত্র কখনও বীরভূম আবার কখনও বর্ধমানে আসছে। এমনকী ফরাক্কা হয়েও আগ্নেয়াস্ত্র মুর্শিদাবাদ, নদীয়া এবং অন্যান্য জেলায় আসছে।

সম্প্রতি বিহারের কয়েকজন অস্ত্র কারবারিকে গোয়েন্দারা গ্রেফতার করে। তাদেরকে জেরা করেই এই তথ্য হাতে পেয়েছেন গোয়ান্দারা। আগ্নেয়াস্ত্র ঢোকার খবর জানতে পেরে বিভিন্ন সংস্থা কয়েকদিন ধরেই সক্রিয় ছিল। রামপুরহাটের ঘটনার পর তাঁদের আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জেলার অপরাধ সংক্রান্ত সমস্ত ইনপুটও রাজ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।

ঠিক কী পরিকল্পনা করা হয়েছে?‌ গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য বিশেষ অভিযান চালানো হবে। নাকা চেকিং বাড়ানো হবে। প্রতিটি জেলায় ‘এসওজি গ্রুপ’ দিন রাত ময়দানে থাকবে। প্রয়োজনে জাতীয় সড়কেও গাড়ি দাঁড় করানো হবে। নাইনএমএম পিস্তল ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকায় অস্ত্র কারবারিরা বিক্রি করছে। সেভেন এমএম পিস্তল ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এবার সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করার জন্য পুলিশ কোমর বেঁধে ময়দানে নামছে।

বন্ধ করুন