প্রধানমন্ত্রীর কোভিড বৈঠকে ডেকে এনে অপমান করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। চেয়েও টিকা দিচ্ছে না বলেও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে তোপ দেগেছিলেন তিনি। তবে এতসব কিছুর পরেও কিছুটা হলেও এবার স্বস্তি। আর বৃহস্পতিবার রাতেই রাজ্যে এসেছে ২ লাখ কোভিশিল্ড টিকা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকার ২ লাখ কোভিশিল্ড টিকা পাঠিয়েছে রাজ্যে।অন্যদিকে শুক্রবার রাজ্যে আসবে আরও ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫৪০টি কোভিশিল্ড টিকা। এদিকে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন মিলিয়ে প্রায় ১৮ লক্ষ ভ্যাকসিন কেনার জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশের মতে, রাজ্য যত টিকা কেনার জন্য টাকা দিয়েছে তার মধ্যে ১১ লক্ষ টিকা মিলেছে। বাকি রয়েছে আরও ৭ লক্ষ টিকা। জুনের মধ্যে সেই টিকা আসতে পারে। আরও ৫ লক্ষ টিকাও আসতে পারে বলে সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা অনেকটাই কমতে পারে। মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
তবে এসবের মধ্যেই জেলায় জেলায় টিকার জন্য দীর্ঘ লাইন পড়ছে। এমনকী টিকার লাইন মোটা টাকায় বিক্রির অভিযোগও উঠেছে জলপাইগুড়িতে। টিকার লাইনে হাতাহাতির ছবি দেখা গিয়েছে বারাসতে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, টিকার যোগান ঠিকঠাক থাকলে সাধারণ মানুষের হয়রানি অনেকটাই কমবে।