পিএসি চেয়ারম্যান হিসাবে যতই মুকুল রায়ের রাস্তা মসৃণ হচ্ছে ততই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠছে বিজেপি। একদিন আগেই বিরোধী দলনেতার উলটো সুর শোনা গিয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতির গলায়। তার ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে শুক্রবার রাজ্য সরকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা মানা উচিত বলে সোচ্চার হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীও বৃহস্পতিবার একপ্রকার চ্যালেঞ্জের সুরে জানিয়ে দেন, মুকুলকেই পিএসি চেয়ারম্যান পদে সমর্থন করবে তৃণমূল কংগ্রেস।
এই পরিস্থিতিতে বিজেপি মুকুল রায়ের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিধানসভার সচিবকে চিঠি দেয়। যদিও সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। বিধানসভার পক্ষ থেকে প্রকাশিত ২০ জনের মনোনয়ন তালিকায় নাম রয়েছে মুকুল রায়ের। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যে কেউ আবেদন করতে পারেন। তাছাড়া মুকুল রায় তো বিজেপির সদস্য। আমরা তাঁকেই সমর্থন করব। এতে অসুবিধার কী আছে! ওদের লোককেই তো জায়গা দিচ্ছি।
এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে থেকে মুকুল রায়কে দলে যুক্ত করেছেন। এখন তিনি তাঁকে বিজেপির লোক বলছেন। কোনও আইন মানা হচ্ছে না। পরম্পরা অনুযায়ী বিজেপি থেকে মনোনীত ব্যক্তিকেই সদস্য করা উচিত। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি থেকে কাউকে নিতে চাইছেন না। গতবার বিরোধীদের জন্য ১৫টি পদ ছিল। এবার ১০টি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওনারা নির্বাচনে জিতে সরকার গড়েছেন। ওঁদের ইচ্ছা হলে কোনও পদ দিতে নাও পারেন। কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা মেনেই চলা উচিত।’
উল্লেখ্য, সোমবারের মধ্যে বিধানসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক একাউন্টস কমিটির নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসক ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। প্রথম থেকেই এই কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দাবি করে আসছে বিরোধীরা। সাধারণত রীতি অনুযায়ী বিরোধীদের হাতে এই কমিটির দায়িত্ব থাকলেও চেয়ারম্যান কে হবেন স্পিকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।