আবার চিংড়িঘাটায় পথ দুর্ঘটনা ঘটল। এবার নির্মীয়মাণ মেট্রোর পিলারে সজোরে ধাক্কা মারল বেপরোয়া গাড়ি। আর এই পথ দুর্ঘটনার জেরে জখম হয়েছেন চারজন। দ্রুততার সঙ্গে তাঁদেরকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এই পথ দুর্ঘটনায় গাড়িচালকের ভূমিকা নিয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দু’দিন আগেই ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল চিংড়িঘাটা। তারপরে রবিবার সকালে আবার একই জায়গায় পথ দুর্ঘটনা ঘটল, যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে চিংড়িঘাটায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবাসরীয় ভোরে চিংড়িহাটা মোড়ের কাছে পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চিংড়িহাটা থেকে সেক্টর ফাইভগামী একটি প্রাইভেট গাড়ি ধাক্কা মারে নির্মীয়মাণ মেট্রো রেলের পিলারে। এই গাড়িতে মোট চারজন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, একজন মহিলা। তাঁদেরকে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। প্রাইভেট গাড়ি বেপরোয়া গতিতে ভোরবেলা আসছিল। তখন চিংড়িহাটা থেকে বাঁক নিয়ে সেক্টর ফাইভের দিকে ঢোকার আগেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে। গাড়িটির সামনের অংশ পুরো দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে।
আদে ঠিক কী ঘটেছিল? দু’দিন আগেও চিংড়িহাটা মোড়ে পখ দুর্ঘটনা ঘটে। পরপর ৮ জনকে ধাক্কা মারে একটি বেপরোয়া গাড়ি। এই দুর্ঘটনার জেরে হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক মহিলা মারাও যান। নয়াদিল্লি থেকে ফিরে সরাসরি এসএসকেএম হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় গুরুতর আহতদের জন্য ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। বাকিদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা জানান তিনি। সকলকে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ মেনে চলার বার্তাও দেন। কিন্তু তারপরও রবিবার ঘটে গেল পথ দুর্ঘটনা।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে গাড়ির গতি বেপরোয়া থাকার জন্য। গাড়িটি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন আবার এমন পথ দুর্ঘটনা ঘটল? সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগে যখন চিংড়িঘাটায় পথ দুর্ঘটনা ঘটেছিল তখন ডিসি ট্রাফিক ইন্দ্রাণী দত্ত বলেছিলেন, ‘চিংড়িহাটায় বিধাননগর পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের কড়া নজরদারি রয়েছে। এখন দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটা কমেছে। তবে এই ঘটনা কেন ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ তার মধ্যে রবিবার ফের একই ঘটনা।