দলের মধ্য়ে কার কোন দায়িত্ব সেটা ঠিক করে দিয়েছেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জাতীয় কর্মসমিতির মিটিংয়ের পরে এনিয়ে ঘোষণাও করে দিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু তারপরেও মঙ্গলবার মুখ খুলেছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সমর্থনে ব্যাট ধরলেন হুমায়ুন। তিনি বলেন, কী এমন ঘটনা হল যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে দমিয়ে রাখতে হবে? কেন কার স্বার্থে ঘা লাগছে? অভিষেককে কোণঠাসা করার চেষ্টা হলে আমরা মেনে নেব? সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, যাঁরা মমতার সঙ্গে অভিষেকের দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করছে তাঁরা সফল হবেন না।
এদিকে হুমায়ুনের এই ফের মুখ খোলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কুণাল ঘোষও। তিনি বলেছেন, এই অবাঞ্ছিত বিতর্ক টেনে আনাকে সমর্থন করি না। উনি নেতা, বিধায়ক ওনার যদি কোনও বক্তব্য থাকে তাহলে দলের যথাযথ নেতৃত্বের বলার সুযোগ অধিকার রয়েছে। তার বদলে এই ধরনের কথা বলার কোনও অর্থ হয় না।
এদিকে এর আগে হুমায়ুন কবির বলেছিলেন, ‘আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপ মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ মন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই। তাহলে রাজ্যের পুলিশের সমস্যা মিটে যাবে।’ সাংবাদিকদের হুমায়ুন এর আগে বলেছিলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগাতে হবে। কোনও ঘটনা ঘটার আগে পদক্ষেপ ও পরে পদক্ষেপ নেওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আগে পদক্ষেপ করলে তাতে মানুষ অনেক নিরাপত্তা বোধ করেন। তাই কে কোথায় কী ধরনের দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপ চালানোর চেষ্টা করছে তা জেনে তাদের পাকড়াও করলে কোনও অপরাধ সংঘটিত হবে না।’
তিনি দলের কাছে অনুরোধ করবেন যে উপ মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ মন্ত্রী করা হোক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু কেন এসব তিনি চান? তার ব্যাখাও দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনিতেই তাঁকে রাজ্যের প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলাতে হয়। তিনি অনেক পরিশ্রম করেন। যার ফলে সাধারণ মানুষ তো বটেই দলের অনেক নেতা কর্মীরাও ব্যস্ততার কারণে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না।
এদিকে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পরে দেখা গেল প্রবীণদেরই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসালেন মমতা। অভিষেকের তোলা প্রবীণ নবীন দ্বন্দ্বেও জল ঢাললেন। সেই সঙ্গেই অভিষেকের দায়িত্ব দিল্লি নিয়ে কথা বলার। এসব শুনে হুমায়ুনে হুঙ্কার, কী এমন ঘটনা হল যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে দমিয়ে রাখতে হবে? কেন কার স্বার্থে ঘা লাগছে? অভিষেককে কোণঠাসা করার চেষ্টা হলে আমরা মেনে নেব?