তথাগত রায় বনাম দিলীপ ঘোষ বাকযুদ্ধ লেগেই রয়েছে। দিলীপ ঘোষকে এইট পাশ বলে আক্রমণ করেন প্রাক্তন মেঘালয়ের রাজ্যপাল। তার প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা গিয়েছিল, দলীয় দফতরকে পানশালায় পরিণত করেছিলেন তথাগত রায়। এবার দিলীপের জবাব দিলেন তথাগত। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, তিনি কখনও দলীয় দফতরের তিন কিলোমিটারের মধ্যে মদ্যপান করেননি। জল আর চা ছাড়া কিছু পান করেননি পার্টি অফিসে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? তথাগত রায় একটি টুইটে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম না করে ফিটার মিস্ত্রি বলেছিলেন। পাল্টা দিলীপ বলেছিলেন, তথাগত রায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু এবং তৃণমূল কংগ্রেসের থেকেও সুবিধা নিয়েছেন। একদম ফালতু লোক। তারপরই টুইটারে তথাগত রায় লেখেন, ‘যে ফিটার মিস্ত্রিটি ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে মিথ্যা এফিডেভিট করে নিজেকে ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিকের ডিপ্লোমাপ্রাপ্ত বলে লিখেছিলেন, এবং যা ওই পলিটেকনিক অস্বীকার করেছে, তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই। কারণ, মিথ্যা এফিডেভিট করা একটি দণ্ডযোগ্য অপরাধ।’
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘যাঁরা লোকের পায়ে ধরে চাকরি পেয়েছেন, যাঁরা বিজেপি পার্টি অফিসকে পানশালা বানিয়ে দিয়েছিলেন, জীবনে ফূর্তি ছাড়া কিছু করেননি, যাঁরা সিপিআইএম ও তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে সব সুবিধা নিয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল বিজেপি যাতে কোনও দিনই চার শতাংশের বেশি ভোট না পায়। সেই সব আহাম্মকদের কথা কে শোনে?’
ঠিক কী জবাব দিয়েছেন তথাগত? পাল্টা জবাবে দিলীপ ঘোষকে ধুয়ে দিয়েছেন এই বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা। তিনি টুইটে লেখেন, ‘আমি কখনও জল ও চা ছাড়া কোনও কিছুই দলীয় দফতরের তিন কিলোমিটারের মধ্যে পান করিনি। এটা আমি হলফনামা দিয়ে বলতে পারি। আমার বিরুদ্ধে দলীয় দফতরে মধুশালা তৈরি, তৃণমূলের থেকে সুবিধা নিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তোলার পরে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে অনভিজ্ঞ বলার পিছনে কারণ কী? নিজে অষ্টম শ্রেণি পাশ বলেই কি শিক্ষিতদের সহ্য করতে পারেন না?’