আগেও তাঁকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। এখনও বিতর্ক তাঁর সঙ্গে বয়ে চলেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের ভুয়ো শংসাপত্র কাণ্ডে তাঁর নাম জড়িয়ে পড়েছে। আবার মেডিক্যাল কলেজ থেকে জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন লোপাটে তাঁর নাম জড়িয়ে পড়েছে। এত বিতর্কের পরও ফের রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি মনোনীত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নির্মল মাজি। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম। তাঁদের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেসের উচিত ছিল নির্মল মাজিকে বহিষ্কার করা। সেখানে তাঁকে পুরস্কৃত করা হল।
স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নির্মল মাজিকে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। সম্প্রতি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে টসিলিজুমাব কাণ্ডে নির্মল মাজিকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। কিন্তু তারপরও এই পদে আসীন হতে কোনও বাধায় পড়তে হলো না। এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি পদ থেকে নির্মল মাজি ইস্তফা দেওয়ার পর একটি প্যানেল তৈরি হয়। সেই প্যানেলে ডা. শান্তনু সেন, ডা. প্রদীপ ভিমানী ও ডা. অসীম রায়ের নাম ছিল। কিন্তু সেই প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। কি কারণে বাতিল হলো তা অবশ্য কেউ জানাননি। তারপরই নতুন করে ডা. নির্মল মাজি–সহ আরও দুই চিকিৎসকের নাম পাঠানো হয়েছিল প্যানেলের সদস্য হিসেবে। তা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত।
কিন্তু নির্মল মাজি এই বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা বলছেন না বলে খবর। অথচ চিকিৎসক সংগঠনের একটা অংশ বলছে, ২০১৮ সালে মেডিক্যাল কাউন্সিলের যে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নির্মল মাজি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তা আইন মেনে হয়নি। এই নিয়ে আদালতে মামলাও হয়। সেখানে নতুন প্যানেলে নির্মল মাজির নাম প্রস্তাবিত হওয়ায় বিতর্কের সূত্রপাত। আবারও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।