অ্যাডিনোভাইরাস আতঙ্ক এখন গোটা রাজ্যে। তার মধ্যেই এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬ মাস বয়সী দুই শিশুর মৃত্যু হল। আজ, বুধবার দুই শিশুর মধ্যে একজন হাওড়ার উলুবেড়িয়া ও অপরজন হুগলির মগরার বাসিন্দা বলে খবর। এই দুই শিশুরই অ্যাডিনোভাইরাস পজিটিভ ছিল বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে হাওড়ার শিশুকে উলুবেড়িয়া হাসপাতাল থেকে কলকাতা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি। এবার তাঁর মৃত্যু হল। মগরার শিশু প্রথমে ভর্তি ছিল চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। ২৭ তারিখ ওই শিশুকে কলকাতা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। এবার তার মৃত্য়ু হয়।
এদিকে বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে দু’মাসে রাজ্যে মৃত্যু হল ১১৫ জন শিশুর। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। সকলের মৃত্যুর কারণ যে অ্যাডেনোভাইরাস সেটা নিশ্চিত করে বলা হয়নি। এই সংকট দেখা দিয়েছে যখন তার মধ্যেই তখন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আবারও দুই শিশুর মৃত্যুর খবর এল। এই দুই শিশুর অ্যাডেনোভাইরাস পজিটিভ ছিল বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে রাজ্যে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গরম বাড়লে এই ভাইরাস কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি জানান, রাজ্য সরকার সবরকম পদক্ষেপ করছে। প্রায় ২৫০০ ‘সিক নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট’, ৬৫৪টি পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) এবং ১২০টি এনআইসিইউ বেড তৈরি রাখা হয়েছে। শিশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে ওষুধ ব্যবহার করা হবে, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু বিসি রায় হাসপাতালে শিশু মৃত্যু বেড়েই চলেছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? শিশু হাসপাতালের পাশাপাশি মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল–সহ প্রত্যেকটি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন’ (এআরআই) চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এআরআই চিকিৎসার জন্য রাজ্যের ১২১টি হাসপাতালে পাঁচ হাজার শয্যার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এমনকী হাসপাতালগুলিতে ৬০০ জন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডিউটিতে থাকছেন। আর ওপিডি–তে অন্তত একজন শিশুরোগ চিকিৎসককে রাখা হচ্ছে। সঙ্গে টেলিমেডিসিনের ব্যবস্থাও আছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup