বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Adenovirus: আবার কলকাতায় দুই শিশুর মৃত্যু, ১০ মাসের একরত্তিরও কি অ্যাডিনোভাইরাস?

Adenovirus: আবার কলকাতায় দুই শিশুর মৃত্যু, ১০ মাসের একরত্তিরও কি অ্যাডিনোভাইরাস?

দাপট অব্যাহত অ্যাডিনোভাইরাসের।

শিশুটির মৃত্যুর শংসাপত্রে নিউমোনিয়া লেখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা জানান, সে অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত ছিল বলে পরীক্ষায় ধরা পড়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের বাসিন্দা ওই শিশুটি শুক্রবার সকালে মারা যায়। বাড়ির লোকেদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ঘাবড়ে না গিয়ে আরও বেশি করে সতর্ক থাকতে হবে। 

বি সি রায় হাসপাতালে আবার শিশু মৃত্যুর ঘটনা। আজ, শুক্রবার সকালে ১০ মাসের এক শিশুকন্যার মৃত্যু হল হাসপাতালে। পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, বারাসতের ওই শিশুকন্যা দু’‌সপ্তাহ আগে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। শিশুর ফুসফুসের সংক্রমণও ছিল। আজ সকালে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত ছিল শিশুটি। এই শিশুমৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফুলবাগানের এক হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বেশ কয়েকদিন ধরে রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আজ কলকাতায় আবার দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের অ্যাডিনোভাইরাস হয়েছিল কিনা তা সেটা হাসপাতাল থেকে নিশ্চিত করা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে পেডিয়াট্রিক ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল শিশুকন্যাকে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত থাকায় শ্বাসকষ্ট ছিল। আজ এই দুই শিশুমৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

দু’‌দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে জানান, রাজ্যে ১২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে দু’‌জনের অ্যাডিনোভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের কোমর্বিডিটি ছিল। তবে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্য়েই একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। শুরু হয়েছে একটি হেল্পলাইন নম্বরও। হেল্পলাইনের টোল–ফ্রি নম্বর—১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪২২২। রাজ্যের পক্ষ থেকে অ্যাডিনোভাইরাসকে সামাল দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পেডিয়াট্রিক অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন সামাল দিতে রাজ্যে ১২১টি হাসপাতালে পাঁচ হাজারেরও বেশি বেড তৈরি রাখা হয়েছে।

এদিকে শিশুটির মৃত্যুর শংসাপত্রে নিউমোনিয়া লেখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা জানান, সে অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত ছিল বলে পরীক্ষায় ধরা পড়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের বাসিন্দা ওই শিশুটি শুক্রবার সকালে মারা যায়। বাড়ির লোকেদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ঘাবড়ে না গিয়ে আরও বেশি করে সতর্ক থাকতে হবে। আর অন্যদিকে এমন খবর নিয়ে আতঙ্ক না ছড়াতেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন