হিন্দু হস্টেলের দাবিদাওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে অব্যাহত বিক্ষোভ। আগামীদিনেও সেই বিক্ষোভ জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।
হস্টেলের তিন, চার ও পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সংস্কার-সহ একগুচ্ছ দফা দাবি নিয়ে গত ২১ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন হস্টেলের আবাসিকরা। পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁদের দাবি পূরণের বিষয়ে ন্যূনতম সদিচ্ছা দেখায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেজন্য গত সোমবার থেকে উপাচার্যের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন পড়ুয়ারা। সেদিন রাতভর ঘেরাও থাকার পর মঙ্গলবার ভোর ছ’টা নাগাদ আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের এড়িয়ে বেরিয়ে যান উপাচার্য। বেলা ১১টা নাগাদ ফিরে এলেও পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেলনি তিনি।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, ঠান্ডার মধ্যে পড়ুয়ারা থাকলেও দাবিদাওয়া মেটানো নিয়ে কথা বলেননি উপাচার্য। তবে মঙ্গলবার কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে বৈঠক করেন পড়ুয়ারা। নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা জানান। সেই শিক্ষকরা উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করলেও কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি।
বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য ও রেজিস্টার দেবজ্যোতি কোনারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম গোপন রাখার শর্তে এক শিক্ষক জানান, কর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়াদের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছেন শিক্ষকরা। তবে বুধবার দুপুর পর্যন্ত কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি।
বিক্ষোভের জেরে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সিতে স্বাভাবিক পঠনপাঠনও ব্যাহত হয়েছে। যদিও পড়ুয়াদের দাবি, তাঁরা পড়াশোনার পরিবেশে ব্যাঘাত ঘটাতে চান না। তবে আন্দোলন জারি থাকবে। অর্থনীতির এক পড়ুয়া বলেন, 'যেহেতু উপাচার্য দাবিদাওয়া নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি, তাই আন্দোলন চলবে। তিনি নিজের বাড়িতে যেতে পারেন। কেউ তাঁকে আটকাবে না। কিন্তু আমরা বিক্ষোভস্থল থেকে সরছি না।'