অভিনব কায়দায় শহর জুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল বিজেপি। শনিবার কলকাতার ১০ জায়গা দখল করে জাল টিকা কাণ্ডের প্রতিবাদে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা। করোনা বিধি মেনেই কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়। এদিকে করোনা বিধিনিষেধ মেনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করায় বিজেপি কর্মীদের আটকায়নি পুলিশ। যেন শুভেন্দু অধিকারীর দেখানো পথে হেঁটেই এই বিক্ষোভে শামিল হন মোর্চা কর্মীরা।
এর আগে হঠাত্ করে বিধানসভায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে 'লাভবান' হয়েছিল বিজেপি। তার আগে স্বাস্থ্য ভবনেও আচমকা পৌঁছেছিলেন শুভেন্দুর নেতৃত্বাধীন বিজেপির প্রতিনিধি দল। সেই মতো এদিন আলিপুর চিড়িয়াখানা, জাতীয় গ্রন্থাগার, কালীঘাট মন্দির, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের মতো ১০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। জাল টিকা কাণ্ড নিয়ে পোস্টার দেখিয়া বিজেপি প্রশ্ন তোলে, বাংলার বিদ্বজ্জনরা চুপ কেন?
উল্লেখ্য, এর আগে শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা যেভাবে বিধানসভার ওয়েলে নেমে আচমকা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সবাইকে অবাক করে দেন, তার জেরে সরকারের ভাষণ পড়তে পারেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই বিষয়টিকে নিজেদের নৈতিক জয় হিসেবে দেখছে গেরুয়া শিবির। এদিকে এর আগে শুভেন্দুদের স্বাস্থ্য ভবন পৌঁছে যাওয়াতে সেখানকার নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছিল।
এদিকে করোনা আবহে এই অভিনব কায়দায় বিক্ষোভ প্রদর্শন প্রসঙ্গে দক্ষিণ কলকাতা জেলা যুব মোর্চার সভাপতি মুকুন্দ ঝাঁ সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিজেপির এই কর্মসূচি পুলিশের অনুমতি নিয়ে করা সম্ভব হত না। করোনা বিধিনিষেধের জেরে ৫০ জনের বেশি জমায়েত করা এখন বেআইনি। তবে বিজেপি এদিন প্রতিটি জায়গায় খুব সংখ্যক কর্মী নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। তবে মুকুন্দের অভিযোগ, পুলিশের কাছে অনুমতি চাইলে তা মিলত না। তাই আচমকা বিক্ষেভ প্রদর্শনের এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সংবাদমাধ্যকেও এই বিষয়ে তাই আগেভাগে জানানো হয়নি।