ফের যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল' কলেজে বিক্ষোভ। তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। টিএমসিপির একাংশ এই বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে গোটা পরিস্থিতিটা একেবারেই যাদবপুরের মতো হয়নি। মালা রায় নিরাপদেই বের হয়ে যান কলেজ থেকে। প্রসঙ্গত জিবি মিটিংয়ের জন্য কলেজে এসেছিলেন মালা রায়।
আর তারপরেই বহিরাগতদের একাংশ ও যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তুমুল বচসা বেঁধে যায়। নানাভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করা হয়। রঙ খেলা, জল ছোঁড়ার নাম করে দুপক্ষের মধ্য়ে বচসা বেঁধে যায়। বহিরাগতদের বের করার জন্য় দাবি করেন ছাত্রছাত্রীরা।
এক ছাত্রী বলেন, বহিরাগতদের বের করতে হবে। আমাদের জোর করে রঙ মাখানো হচ্ছে। অপর এক ছাত্র বলেন, বহিরাগতরা কলেজ চত্বরে ঢুকে পড়েছে।
এদিকে সরস্বতী পুজোর আগেও যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে ঝামেলা বেঁধেছিল। গত ২ ফেব্রুয়ারি এই কলেজেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। সেই সময় তারা দাবি করেছিলেন এই কলেজ সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার কয়েকজন ছাত্রী দাবি করেন মহম্মদ সাব্বির আলির নেতৃত্বে কয়েকজন বহিরাগত এসে কলেজে জোর করে রঙ মাখাচ্ছে। দাবি করেন এক ছাত্রী। অপর এক ছাত্র বলেন, আজ তো হোলি নয়। তারপরেও কেন জোর করে রঙ মাখানো হচ্ছে?
সাংসদ মালা রায় সংবাদমাধ্য়মে বলেন, কে বহিরাগত আর কে কলেজে পড়াশোনা করেন সেটা তো জানি না। সেটা কলেজ কর্তৃপক্ষ দেখবে। দুটো কলেজ চলছে। ডে আর মর্নিং। জিবি মিটিং নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি।
সূত্রের খবর, ১৫ মার্চ পর্যন্ত যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজ বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ১৭ মার্চ ফের খুলবে কলেজ। অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমি কলেজে ছিলাম না। আমি কলেজে এসে দেখলাম এখানে অন্যরকম পরিস্থিতি। কারা কী জন্য ঢুকেছে জানা নেই। এখানে রঙ খেলার কোনও ইভেন্ট ছিল না। তারপরেও কেন এটা হল বুঝতে পারছি না। পুলিশ এসেছিল। কিন্তু পুলিশকে কলেজে চাইছি না। তবে আগামী তিনদিন কলেজ বন্ধ থাকবে।