চতুর্থীর রাত। বউবাজার থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কার্যত ঘেরাও করা হল বউবাজার থানা। তাঁদের দাবি, ধর্নামঞ্চে কিছু টেবিল চেয়ার যাচ্ছিল। সেই সময় ভ্যান সহ বেশ কয়েকটি টেবিল চেয়ার নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই ভ্যানকে আটকে দেয় পুলিশ। এরপর সেগুলিকে বউবাজার থানায় নিয়ে আসা হয়। এই খবর পাওয়ার পরেই থানার সামনে জড়ো হয়ে যান জুনিয়র ডাক্তাররা।
এদিকে জুনিয়র ডাক্তাররা বার বারই অভিযোগ করছিলেন তাঁদের ধর্নাস্থলে জল আনতে দিচ্ছে না। বায়ো টয়লেট রাখতে দিচ্ছে না। এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় ধর্নামঞ্চে কিছু চেয়ার টেবিল নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সেই মতো সেই চেয়ার টেবিল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আচমকাই সেই ভ্যান আটকে দেয় পুলিশ। এদিকে খবর পেয়েই বউবাজার থানার সামনে চলে আসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা এরপর স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি বার বার নানাভাবে আন্দোলনকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।
রাত বাড়ছে। বাংলার বিভিন্ন প্যান্ডেলের সামনে জনতার ভিড়। তার মধ্যেই প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে সরেননি চিকিৎসকরা। অনশনে এখনও জুনিয়র চিকিৎসকরা। এতদিন যারা মিছিলে হেঁটেছিলেন তাঁদের মধ্য়ে অনেকেই এখন পুজো মণ্ডপে। তবে প্রতিবাদের মঞ্চ থেকে একবারও সরে আসেননি জুনিয়র ডাক্তাররা।
নির্মল চ্যাটার্জি স্ট্রিটে আমরা চৌকি নিয়ে যাচ্ছিলাম। সেই সময় পুলিশ আটকায় সেই ভ্যানগুলিকে। জুনিয়র ডাক্তাররা বার বার অনুরোধ করেন এভাবে আপনারা চৌকি আটকাতে পারেন না। কিন্তু সেটা মানতে চায়নি পুলিশ। এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, আমরা বার বার বলেছিলাম এই খাট নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধর্নামঞ্চে। তবুও ওরা শুনলেন না।
কার্যত বাংলায় নজির তৈরি করেছেন তাঁরা। মঙ্গলবার পঞ্চমী। সেই দিনই ধর্মতলা থেকে কলেজ স্কোয়ার পর্যন্ত মিছিল করবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে।
নেদারল্যান্ড থেকে কানাডা থেকে এসেছেন প্রবাসী বাঙালিরা। তাঁরা এদিনের ঘটনায় হতবাক। তাঁদের দাবি, কোনও সভ্য দেশে এটা হয়না। আমরা যেখানে থাকি সেখানেও প্রতিবাদ জানিয়েছি। এবার বাংলায় এসে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাঙালি হিসাবে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি, আমরা প্রতিবাদ জানাব। আমরা ধর্নামঞ্চে গিয়েছিলাম। তারপর পুলিশের এই ভূমিকার কথা জেনে আমরা বউবাজার থানার সামনে বসতে বাধ্য হলাম।