নানা দাবিতে গভীর রাত পর্যন্ত আরজিকর হাসপাতালের মেডিকেল পড়ুয়ারা বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। প্রিন্সিপালেরও পদত্য়াগ দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবি সম্প্রতি কলেজে ছাত্র ইউনিট তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেই ইউনিট তৈরির ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ছাত্রছাত্রীদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে অধ্যক্ষ নিজের মতো করে ছাত্র ইউনিট গঠন করেছেন বলে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের অভিযোগ। এদিকে বিক্ষোভের জেরে ওই মেডিকেল কলেজ চত্বরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। তবে পুলিশের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষের ঘরে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে বেশ কয়েকটি দাবির কথা মেনে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আরও একাধিক দাবি মেটানোর ক্ষেত্রে জটিলতা থেকেই গিয়েছে। এই রফাসূত্র কীভাবে বের হবে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে।
এদিকে গভীর রাতে শান্তনু সেনও আরজিকরে আসেন। প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আলোচনা সাপেক্ষে সবকিছুই সম্ভব। আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সূত্র বের হয়। আরজিকর হাসপাতালের যে গরিমা আছে তা ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে।’ পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ‘এখানে সবাই একটি পরিবারের মতো। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছাত্রীরা ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে দাবি করতেই পারেন।’ এদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর, ছাত্রী নিবাসের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস মিলেছে। নবগঠিত ইউনিট এখনই কার্যকর করা হচ্ছে না। হস্টেল সংক্রান্ত যে সার্বিক সমস্যা রয়েছে তা কলেজ কাউন্সিলে আলোচনা হবে।