বিজেপি প্রার্থীর ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয় পুলিশকে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গল্ফগ্রিন থানার দুই পুলিশকর্মী এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, থানায় ডেকে পুলিশের মারধরে মৃত্যু হয়েছে দীপঙ্কর সাহার। প্রসঙ্গত, মৃত দীপঙ্করের দাদা গত পুরভোটে ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। এই আবহে এই ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ লেগেছে। সুর চড়িয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল।
এক টুইট বার্তায় বিজেপি বিধায়ক লেখেন, ‘এরা পুলিশ না গুন্ডা? কেন এমন অমানবিক অত্যাচার? নোটিস ছাড়াই গ্রেফতারের দাবি করছে নিহতের পরিবার, পুলিশমন্ত্রী জবাব দিন।’ অভিযোগ, গত ৩১ জুলাই আজাদগড়ের বাসিন্দা দীপঙ্কর সাহাকে কয়েকজন ব্যক্তি পুলিশ পরিচয় দিয়ে থানায় ডেকে নিয়ে যায়। পরিবারের দাবি, যারা থানায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা বলেছিলেন ‘বড়বাবু থানায় ডাকছেন।’ এরপর ওই রাতে গুরুতর জখম অবস্থায় বাড়ি ফেরেন দীপঙ্কর। দীপঙ্কর তাঁর পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, পুলিশ কর্মীরা তাকে মারধর করেছেন। এরপর ওই দিন রাতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় দীপঙ্করের।
আরও পড়ুন: মেয়র ফিরহাদের ওয়ার্ডে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার ‘প্রবণতা’, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পুরনিগমের
এরপর ২ অগস্ট শিশুমঙ্গল হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল জখম দীপঙ্করকে। পরে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশি অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে দীপঙ্করের। এরপরই গল্ফগ্রিন থানার সার্জেন্ট অমিতাভ তামাং, কনস্টেবল তৈমুর আলি, সিভিক ভলান্টিয়ার আফতাব মণ্ডলকে ক্লোজ করা হয়।
এদিকে পরিবারের অভিযোগ, দীপঙ্করের ময়নাতদন্তের সময় তাঁদের থাকতে দেওয়া হয়। ময়নাদতন্তের ভিডিয়োগ্রাফিও হয়নি। যদিও লালবাজার সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, যে তিনজন চিকিৎসক ময়নাতদন্ত করেছেন, তাঁরা ভিডিয়োগ্রাফি করে রেখেছেন। তাছাড়া পুলিশের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের সময় মৃতের পরিবারের সদস্যদের থাকার নিয়ম নেই।