লক্ষ্য ২০২১–এর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন। খুব শীঘ্রই বাংলায় আসছেন এআইএমআইএম (AIMIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি। বাংলায় নির্বাচনী রণকৌশল ঠিক করতে শনিবার হায়দরাবাদে পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষ নেতারা সঙ্গে বৈঠক করেন অল ইন্ডিয়া মজলিস–এ–ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি।
এদিনের বৈঠক শেষে মিমের মুখপাত্র আসিম ওয়াকার জানান, খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গে আসবেন আসাদউদ্দিন ওয়েসি। মিম সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে বিভিন্ন জেলায় প্রার্থী দেওয়া নিয়ে ওয়েসির সঙ্গে আলোচনা করেন রাজ্য নেতৃত্ব। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা–সহ রাজ্যের ২৩ জেলায় মিমের প্রায় ১০ লক্ষ সদস্য রয়েছে।
যদিও ওয়েসির সফর নিয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এ ব্যাপারে বলেন, ‘ওয়সি উর্দুভাষী, হায়দরাবাদে থাকেন। বিহারের সীমান্তে কিছু উর্দুভাষী লোকজন রয়েছেন বলে সেখানকার নির্বাচনে মিমের প্রভাব পড়েছিল। ওরা বিজেপি–র সহায়ক। ওয়েসিকে নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যাথা নেই। কারণ, ওয়েসি পার্টি থেকে দলে দলে লোক তৃণমূলে আসছেন।’
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এ নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, ‘মিম, সিম, আলু, পটল— এরা বাংলায় খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি–র লড়াই। মানুষ তৃণমূলের কাছ থেকে মুক্তি পেতে চাইছে। এবং আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি–ই জয়ী হবে।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মিমের (AIMIM) যুব দলের রাজ্য সভাপতি সফিউল্লাহ খান। একইসঙ্গে সেদিনই ঘাসফুল শিবিরে শামিল হয়েছেন আইএমআইএমের যুব দলের সমস্ত জেলা সভাপতি–সহ গোটা নেতৃত্ব। তাঁদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কয়েকদিন আগেও মুসলিম সম্প্রদায়ের এই রাজনৈতিক সংগঠনের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা তৃণমূলে যোগ দেন।