বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ৫টি আসন দখলের পর এবার যে তাঁদের টার্গেট পশ্চিবঙ্গ তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন AIMIM নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তার আগে পশ্চিমবঙ্গে ৪ জেলায় সংগঠন মজবুত করতে হায়দরাবাদ থেকে এসেছে ফোন। অন্তত এমনই দাবি দলটির নেতাদের। সেখান থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, উত্তর দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের লক্ষে ঝাঁপাবে তারা।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মিম যে কটি আসনে জিতেছে তার প্রায় সবকটিই পশ্চিমবঙ্গ সীমানা লাগোয়া। উত্তর দিনাজপুর ও মালদা জেলা লাগোয়া এই আসনগুলির অধিকাংশই মহাজোটের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। মাস কয়েক আগে বিহারের কিশানগঞ্জ উপনির্বাচনে জয় পেয়েছিল মিম। সেই প্রথম সেরাজ্যে খাতা খোলে তারা। তার পর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় মিমের মিছিল দেখতে পাওয়া যায়। মূলত মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় দেখা যায় মিছিলগুলি। তার মধ্যে সব থেকে বেশি আলোচনা হয়েছিল কোচবিহারের মিছিল নিয়ে।
ভোটের অংক বলছে মিম পশ্চিমবঙ্গে প্রার্থী দিলে সব থেকে বেশি ক্ষতি হতে পারে তৃণমূলের। কারণ রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে এখন একচেটিয়া আধিপত্য তৃণমূলের। সেক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো জেলায় তৃণমূলের যেমন আধিপত্য করে রাখা মুশকিল হবে তেমনই উত্তর দিনাজপুর ও মালদার মতো জেলা উদ্ধার করা মুশকিল হয়ে যাবে তাদের পক্ষে।
মিমের মুর্শিদাবাদ জেলা পর্যবেক্ষক তারিক আজিজ জানিয়েছেন, জেলার ১৮টি আসনের প্রতিটিতেই লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। একই কথা জানিয়েছেন মিমের মালদার নেতা মোতিউর রহমান।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মহাজোটের হারের জন্য মিমকে দায়ী করছেন কংগ্রেস ও আরজেডি নেতাদের একাংশ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদেরও দাবি, ভোট কেটে তেজস্বীর যাত্রাভঙ্গ করেছেন ওয়েইসি। তবে সে সব কথা মানতে নারাজ হায়দরাবাদের সাংসদ। তিনি বলেন, ‘ভোটে আমরা লড়বই। এগিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’