কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলিতে প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা হতে চলেছে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে। তবে অভিযোগ উঠেছে, এখনও পর্যন্ত বহু পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশনই সম্পন্ন হয়নি। ফলে পরীক্ষার আগে সমস্যায় পড়েছেন পড়ুয়ারা। এনিয়ে বহু কলেজ বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় বিশ্ব বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মামলা ঠুঁকে দিল একটি কলেজ। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, রেজিস্ট্রেশনের জন্য কলেজগুলিকে একাধিকবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে নিয়ে ‘বিতর্কিত’ প্রশ্ন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায়! কোথায় 'গলদ'?
উল্লেখ্য, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে কলেজগুলিতে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মূলত পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হচ্ছে। এরকম কলেজের সংখ্যা ৬০ থেকে ৭০টি। যার মধ্যে রয়েছে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ। সূত্রের খবর, এই কলেজে প্রায় ৩০০ জন ছাত্রছাত্রীর রেজিস্ট্রেশন এখনও সম্ভব হয়নি। যার ফলে তারা সমস্যায় পড়েছেন। গত ২১ জানুয়ারি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চ শিক্ষা দফতরে চিঠি দিয়েছিলেন। এরপর দফতরের তরফে, গত ৩০ জানুয়ারি সকলকে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দিতে বলে উচ্চশিক্ষা দফতর। তবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সেই নির্দেশ মানেনি বলে অভিযোগ। তারপরে ওই কলেজের তরফে মামলা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যান্য বিভিন্ন কলেজও বারবার বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু, তারপরে সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি শিক্ষা বছরে কলেজগুলিতে উচ্চ শিক্ষা দফতরের নজরদারিতে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ক্লাস শুরু হওয়ার পরও বহু কলেজে বহু আসন ফাঁকা থেকে যায়। তখন আরও পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে বলে দফতর। জানা।যাচ্ছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দিয়েছিল। অনেকের রেজিস্ট্রেশন হয়নি। তখন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মাধ্যমে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের ১১ এবং ১২ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রেশন করার নির্দেশ দেয়।কলেজগুলির অভিযোগ প্রসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে জানান, চার বার রেজিস্ট্রেশনের জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এখন আদালত যা বলবে সেটাই হবে।