নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে অপমান করেছেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এই অভিযোগ তুলে এবার রাহুলের এফআইআর দায়ের করল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। রবিবার ভবানীপুর থানায় রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী। তাঁর অভিযোগ, নেতাজিকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সাংসদ। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করার পাশাপাশি হিন্দু মহাসভার তরফে এদিন বিক্ষোভও দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: নেতাজির জন্মদিন–মৃত্যুদিন দুই তারিখ পোস্ট রাহুল গান্ধীর, দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনা
প্রসঙ্গত, বিতর্কের সূত্রপাত নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে। ওইদিন নেতাজিকে নিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তিনি নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে পোস্ট করলেও তাতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ‘মৃত্যুর তারিখ’ উল্লেখ করেন। তাতেই তোলপাড় শুরু হয়ে গোটা দেশে। নেতাজির নিজের তৈরি দল ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে শুরু করে বিজেপি এবং অন্যান্য দলের নেতারা রাহুল গান্ধীকে তীব্র কটাক্ষ করেন। তৃণমূল কংগ্রেসও রাহুলের সমালোচনা করে।
রাহুল পোস্টে কী লিখেছিলেন?
বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘মহান বিপ্লবী, আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠাতা, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুজিকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি। নেতাজির নেতৃত্ব, সাহস এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য তাঁর সংগ্রাম, সহনশীলতা এখনও প্রত্যেক ভারতীয়কে অনুপ্রাণিত করে। ভারত মাতার অমর সন্তানকে আমার বিনম্র প্রণাম! জয় হিন্দ।’ এই পোস্টের শেষে জন্ম তারিখের পাশাপাশি মৃত্যুদিন হিসেবে লেখা রয়েছে ১৮ অগস্ট, ১৯৪৫। তারপর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক।
এদিন কলকাতার ভবানীপুর থানায় রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি নেতাজি ভবনের সামনে কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় হিন্দু মহাসভা। চন্দ্রচূড় গোস্বামী রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে বলেন, রাহুল গান্ধীর শরীরে যাদের রক্ত বইছে তারা চক্রান্ত করে নেতাজিকে প্রথম দল ছাড়া ও পরে দেশ ছাড়া করেছিল। রাহুল ও তাঁর পূর্বপুরুষেরা চিরকাল নেতাজি এবং তাঁর আদর্শকে এই দেশ থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে। আগামী দিনের রাহুল বা অন্য কেউ নেতাজিকে অসম্মান করলে হিন্দু মারা মহাসভা তার প্রতিবাদ জানাবে। রাহুলকে ভারতবাসী উপযুক্ত শিক্ষা দেবে।