রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের মামলা ইতিমধ্যেই গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরিকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে উচ্চ আদালতে। পাশাপশি মন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে পুলিশি রিপোর্ট জমা দিতে বলল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১২ ডিসেম্বর।
এদিকে আজ এই মামলার শুনানি চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষের আইনজীবী আবেদন করেন যাতে তাঁর মক্কেলের নাম এই মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এদিকে অখিল গিরির আইনজীবী ফিরোজ এদুলজি এদিন আদালতে বলেন, 'যিনি এই মামলা করেছেন, তিনি বিজেপি লিগ্যাল সেলের সঙ্গে যুক্ত। এটা রাজনৈতিক পদ। এটা স্পষ্টতই উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত একটি মামলা। এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা খতিয়ে দেখা হোক।' এদিকে আজ মামলাকারী আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত বলেন, ‘আমরা থানায় এফআইআর করেছি। অথচ পুলিশ বলছে, কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। নিজেরা অনুসন্ধান করছে।’ এরপরই
উল্লেখ্য, শুভেন্দুকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে অখিল গিরি বলেছিলেন, ‘(শুভেন্দু) বলে (আমাকে) দেখতে ভালো নয়। কী রূপসী? কী দেখতে ভালো? আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা?’ প্রসঙ্গত, এর আগে অখিল গিরিকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু ‘কাকের মতো দেখতে হাফ প্যান্ট মন্ত্রী’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তারই জবাব দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন তৃণমূল বিধায়ক। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। জাতীয় মহিলা কমিশন রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলে চিঠি পাঠিয়েছিল। পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত করতে বলে রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও চিঠি পাঠানো হয়েছে মহিলা কমিশনের তরফে। এবার পুলিশের থেকে রিপোর্ট এবং বিধায়কের থেকে হলফনামা চাইল উচ্চ আদালত।