কেন্দ্রের শো কজের পর আলাপন ইস্যুতে কি বিতর্ক ইতি টানার পথে মমতা? বুধবার তাঁর মন্তব্যে এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিন নবান্নে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, ‘আমি এব্যাপারে আর কোনও কথা বলবো না। আলাপন চ্যাপ্টার ইজ ওভার।’ সঙ্গে ভবিষ্যতেও আমলা ও সরকারি আধিকারিকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
এদিন নবান্নে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর সেচ দফতরের পুনর্গঠন পরিকল্পনা সংক্রান্ত বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই তিনি বলে দেন, ‘এই বৈঠক নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকলে করুন। অন্য কোনও প্রশ্ন করবেন না। এটা সরকারি বৈঠক।’ তবে সাংবাদিক বৈঠকে অবধারিতভাবে ওঠে আলাপন প্রসঙ্গ।
সাংবাদিকের মুখে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শুনেই মমতা তাঁকে থামিয়ে বলেন, আমি এব্যাপারে একটা কথাও বলবো না। আলাপন চ্যাপ্টার ইজ ওভার।’
বলে রাখি, গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে হাজির না থাকায় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে বদলি করে কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ দফতর। গত ৩১ মে সেখানে কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। ঘটনাচক্রে সেটি ছিল আলাপনবাবুর চাকরিজীবনের শেষ দিন। কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে সেদিন দিল্লিতে কাজে যোগ না দিয়ে অবসর নেন আলাপনবাবু। যদিও রাজ্য সরকারের আর্জি মেনে তাঁকে ৩ মাসের এক্সটেনশন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ওদিকে ওইদিনই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত সোমবার আলাপনবাবুকে শো – কজের নোটিশ পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর। তাতে তাঁর বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে সেই চিঠির জবাব দিতে হবে আলাপনবাবুকে। সূত্রের খবর, জবাব সন্তোষজনক না বলে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দায়ের হতে পারে ফৌজদারি মামলা। তার আগে এব্যাপারে মুখ খুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর জলঘোলা করলেন না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।