রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভুয়ো মুখ্যসচিবের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালত। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বাপ্পাদিত্য সাহা এখনও পলাতক। তবে সোমবার অভিযুক্ত কোনও গোপন আস্তানা থেকে আইনজীবী মারফ আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানায়।
আলিপুর জেলা দায়রা আদালতের বিচারক চৈতালী চট্টোপাধ্যায় দাসের এজলাসে মামলাটি ওঠে। মামলা চলাকালীন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বাপ্পাদিত্যর আগাম জামিনের আবেদন জানান। এর পাল্টা বিরোধিতা করে অভিযোগকারী শৌভিক দেবনাথের আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায় আদালতে জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত সমস্ত নথি রয়েছে, যা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে তিনি অভিযোগকারীর কাছ থেকে ভুয়ো পরিচয়ে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও মানবাধিকার কমিশনে মূখ্য সচিবের কোনও পদই হয় না, যা ওই অভিযুক্ত ব্যবহার করে প্রতারণা করেছে। এরপর সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে অভিযুক্তের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।
উল্লেখ্য, ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের কয়েকদিন পরেই গত ১২ জুন বাঁশদ্রোণী থানায় শৌভিক দেবনাথ নামের এক যুবক অভিযোগ দায়ের করেন যে, প্রথমে নিজেকে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের মুখ্যসচিব পরিচয়ে দিয়েছিল বাপ্পাদিত্য সাহা ও পরে তাঁর স্ত্রী ডিঙ্কি সাহা নিজেকে মানবাধিকার কমিশনের রাজ্য সভাপতি পরিচয় দেন। এই দম্পতি তাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় সাহায্য করার আছিলায় দফায় দফায় মোট ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। এমনকী, যথারীতি এই টাকার রসিদও দেয় অভিযুক্তরা। পরে আদালতের খরচের নানা হিসাব দেখিয়ে ওই যুবকের কাছ থেকে আরও টাকা তোলে অভিযুক্ত দম্পতি। কিন্তু ওই যুবকের সন্দেহ হওয়ায়, তিনি বাঁশদ্রোণী থানার দ্বারস্থ হন। এরপরেই ভুয়ো মুখ্যসচিবের জালিয়াতির কারবার প্রকাশ্যে চলে আসে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। ঘটনার তদন্ত করছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ।