ডিসেম্বর মাস শেষ হতে চলেছে। আর শহরে এখন ঠাণ্ডার আমেজ গায়ে মেখে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন নগরবাসী। ভিড় বাড়তে শুরু করেছে চিড়িয়াখানায়। যেখানে খাঁচাবন্দি বাঘ–সিংহ–হাতি দেখতে কচিকাঁচারা ভিড় জমাচ্ছেন বাবা–মায়ের হাত ধরে। তবে এই ভিড় এবার এড়াতে নয়া ব্যবস্থা করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তাতে আরও সহজ হয়ে পড়েছে চিড়িয়াখানায় এন্ট্রি। অনলাইনে কিউআর কোড স্ক্যান করে টিকিট কাটার ব্যবস্থা শুরু করেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা। নতুন এই ব্যবস্থার ফলে লাইনে দাঁড়ানোর ঝঞ্ঝাট নেই। অনলাইনে সহজেই এই ছোট্ট কাজ করে টিকিট কেটে দলে দলে মানুষ প্রবেশ করতে পারবেন পশু–পাখিদের দেখতে।
শুধু শহর নয়, জেলা থেকেও মানুষজন ভিড় করেন আলিপুর চিড়িয়াখানায়। বাঘ, সিংহ, জেব্রা, হরিণ, গন্ডার, হাতি—সব মিলিয়ে ১২০০ বেশি পশুপাখি দেখা যায় এখানে। তার সঙ্গে আধুনিক ফুড কোর্ট–সহ আড্ডা জোন একেবারে শীতের পিকনিকের আদর্শ পরিবেশ। আর হাতে দু’দিন। তারপরই বড়দিন। সেটা কাটিয়ে উঠলেই বর্ষবরণ এবং নতুন বছরের শুরু। এই আবহে বিপুল ভিড়ের সম্ভাবনা থাকে চিড়িয়াখানায়। আনন্দ উপভোগ করার আদর্শ জায়গা এই চিড়িয়াখানা। এখন আবার সেখানে নতুন অতিথিরা এসেছে। তাই ভিড় এড়াতে টিকিট কাটার সহজ বন্দোবস্ত করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। বাড়িতে বসেও টিকিট কেটে ফেলতে পারবেন দর্শকরা। কিউআর কোড স্ক্যান করলেই হাতে টিকিট।
আরও পড়ুন: বড়দিনের আগে বন্ধ হয়ে গেল লাচেন–চুংথাং রুট, প্রবল ভূমিধসের জেরে ধাক্কা পর্যটনে
অনলাইনে ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটার ব্যবস্থা আছে। আলিপুর চিড়িয়াখানার ওয়েবসাইটে ঢুকে ই–টিকিট আইকনে গিয়ে টিকিট কাটার অপশন মিলবে। সেখান থেকে নির্দিষ্ট তারিখ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে কেটে ফেলতে হবে টিকিট। পাঁচ বছরের নীচে শিশুদের জন্য এন্ট্রি ফি ২০ টাকা। পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকেই ৫০ টাকা দিতে হবে। বাড়তি আকর্ষণ অ্যাকোরিয়াম। সেটি মাথা পিছু ২০ টাকা এন্ট্রি ফি। অনলাইন পেমেন্টের অপশন সিলেক্ট করতে হবে। তার পর ইউপিআই সিলেক্ট করলেই স্ক্রিনে ভেসে উঠবে কিউআর কোড। তা স্ক্যান করে সহজেই পেমেন্ট করা যাবে। আর খুলে যাবে চিড়িয়াখানার দুয়ার।
২০২৪ সালে দেড়শো বছর পূর্ণ করেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা। তাই এখানে এক অভিনব আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রথমবার মানুষজন খাঁচায় বন্দি থাকবে। আর নানা রঙের পাখিরা বাইরে থেকে উঁকি দিয়ে দেখবে তাঁদের চিড়িয়াখানায়। এটা বাড়তি আকর্ষণ হয়ে উঠেছে দর্শকদের কাছে। এখানেও তাই ভিড় বাড়ছে। যা ই–টিকিটে সহজেই ভিড় না ঠেলে এগিয়ে যাওয়া যাবে। এই বছরই আলিপুর চিড়িয়াখানায় গ্রিন অ্যানাকোণ্ডা অতিথি হিসেবে এসেছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রোজই খোলা থাকছে এই চিড়িয়াখানা। রোজ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঘোরা যাবে এখানে।