সন্দীপ ঘোষের হাজিরাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ উত্তাল হল আলিপুর আদালত। মঙ্গলবার হেফাজতের মেয়াদ শেষে সন্দীপকে আদালতে পেশ করে সিবিআই। আর সন্দীপের হাজিরাকে কেন্দ্র করে আইনজীবী ও সাধারণ মানুষের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে আদালত চত্বর। শেষে সন্দীপকে আদালত থেকে বার করতে ময়দানে নামতে হয় খোদ বিচারককে।
আরও পড়ুন - আরজি কর কাণ্ডের একমাস পর এখনও ধৃত সঞ্জয়ই মূল অভিযুক্ত! কীভাবে এগিয়েছে CBI?
পড়তে থাকুন - 'টাকার কথা বলিনি' মিথ্যেবাদী মুখ্য়মন্ত্রী, মমতার ভিডিয়োতে প্রমাণ দিলেন শুভেন্দু
মঙ্গলবার নিজাম প্যালেস থেকে সন্দীপকে আদালতে নিয়ে যায় সিবিআই। সন্দীপের হাজিরাকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই কড়া পুলিশি ব্যবস্থা ছিল সেখানে। কিন্তু সন্দীপ ঘোষ সেখানে পৌঁছতে ধূলিস্মাৎ হয়ে যায় যাবতীয় ব্যবস্থা। আইনজীবী থেকে সাধারণ মানুষ, যে যেখানে ছিলেন আদালতের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ওঠে সন্দীপ ঘোষের ফাঁসির দাবি। এমনকী আদালত কক্ষের ভিতরেই ‘ধর্ষক সন্দীপের ফাঁসি চাই’ স্লোগান ওঠে।
আদালতে সন্দীপকে এদিন হেফাজতে চায়নি সিবিআই। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, সন্দীপকে পরে প্রয়োজনে তাঁরা ফের হেফাজতে চাইতে পারেন। তবে আপাতত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হোক। এর পর সন্দীপকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। জেল হেফাজত হয়েছে সন্দীপের ৩ সহযোগীরও।
ওদিকে সময় যত গড়িয়েছে তত বেড়েছে বিক্ষোভ। যে প্রিজন ভ্যানে করে সন্দীপকে আদালতে আনা হয়েছিল সেটি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে কয়েক হাজার মানুষ। অনেক চেষ্টা করেও সন্দীপকে আদালত থেকে বার করতে পারেনি পুলিশ। শেষে বিচারক নিজে বেরিয়ে এসে সন্দীপ ঘোষকে প্রিজন ভ্যানে তুলে দেন।
আরও পড়ুন - রায় নয়, সঞ্জয় রাই; RG করের অভিযুক্ত আদতে বিহারের লোক, দাবি মমতার, ‘হাওড়ারও…’
ওদিকে তখন আলিপুর আদালত চত্বর ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘সন্দীপ ঘোষের ফাঁসি চাই’ স্লোগানে মুখরিত। এরই মধ্যে প্রিজন ভ্যানের জানলা দিয়ে সন্দীপ ঘোষকে হাওয়াই চটি দেখাতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে।