আনন্দপুরকাণ্ডে অভিযুক্ত অভিষেক পাণ্ডেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার তাঁকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে এই নির্দেশ দেন বিচারক। সঙ্গে প্রতিবাদী নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায় ও প্রত্যক্ষদর্শীর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মঙ্গলবার রাতে আনন্দপুর থেকেই অভিষেক পাণ্ডেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার আলিপুর আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী। অভিষেকের আইনজীবীর দাবি ছিল, ঘটনাটি দাম্পত্যকলহের মতো। এতে কোনও ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির অভিযোগ নেই। তাই যে সব ধারা তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছে তা প্রযোজ্য নয়।
জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘অভিযুক্ত দুর্ঘটনাবশত ধাক্কা লেগেছে বলে দাবি করলেও পুলিশ বা আদালতের সামনে আত্মসমর্পণ করেননি। উলটে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। এমনকী তাঁর সঙ্গে অভিযোগকারীনির বোঝাপড়া রয়েছে। দুজনে মিলে পুলিশকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছে। ফলে এই ঘটনার রহস্যভেদ হওয়া প্রয়োজন। তাই অভিষেককে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চায় কলকাতা পুলিশ।’
এর পর অভিষেক পাণ্ডেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
বলে রাখি, সোমবার রাতে আনন্দপুর এলাকায় এক মহিলাকে গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে দেখেন নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায় নামে এক মহিলা। স্বামী দীপের সঙ্গে অন্য একটি গাড়িতে ছিলেন নীলাঞ্জনা। আক্রান্ত মহিলাকে সাহায্য করতে ছুটে যান তিনি। তখন তাঁর পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয় অভিষেক পাণ্ডে নামে অভিযুক্ত। মঙ্গলবার নীলাঞ্জনার পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁর সেরে উঠতে ৪ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার নীলাঞ্জনাকে ফোন করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। তিনি জানান, কলকাতা পুলিশ তাঁর পাশে আছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর চিকিৎসার ভার বইবে রাজ্য সরকার।