পিএসি চেয়ারম্যান মুকুল রায়কে নিয়ে মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে। তার মধ্যেই আবার বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠক হতে চলেছে। সেখানে দেশের সমস্ত পিএসির চেয়ারম্যানরা উপস্থিত থাকবেন। আর এই বৈঠকটি হবে ভার্চুয়ালি। এবার বিষয়টি নিয়ে মুকুল রায়ের মতামত জানতে চায় বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত হয়েছে, নোটিশ পাঠানো হবে তাঁকে।
বিধানসভা সূত্রে খবর, পিএসি’র চেয়ারম্যান বৈঠকে বহুদিন অনুপস্থিত রয়েছেন। তিনি বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যান। এই অনুপস্থিতি থাকার দরুণ মুকুল রায়ের মতামত জানার যাচ্ছে না। ফোনে যোগাযোগও সম্ভব হচ্ছে না। তাই এবার লিখিত নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দুর্গাপুজোর ছুটির মধ্যেই সেই নোটিশ পাঠানো হবে বলে সূত্রের খবর। আর তিনি যাতে এই বৈঠকে যোগ দিতে না পারেন তাই কোমর বেঁধে নামছে বিজেপিও। তবে দেখা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুকুল রায়। আর দলত্যাগ বিরোধী শুনানির হাজিরাও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তাই বিজেপি আদালতে বিষয়টি বুঝে নিতে চাইছে।
তাঁর বিধায়ক–পদ খারিজের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে পিএসি চেয়ারম্যান করা নিয়ে মামলা দায়ের করেন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে নালিশ ঠুকেছেন শুভেন্দু। প্রথা ভেঙে মুকুল রায়কে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এবার পিএসি চেয়ারম্যানদের নিয়ে সর্বভারতীয় বৈঠক হতে চলেছে। সেখানে মুকুল রায় উপস্থিত থাকেন কিনা সেটাই দেখার।