গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিয়ালদা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৫ দুষ্কৃতীকে। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ তাদের গ্রেফতার করেছিল। তাদের কাছ থেকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ধৃতরা সকলেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। কিন্তু তাদের কাছে অস্ত্র এল কোথা থেকে? তারা কি অস্ত্র বিক্রি করার তাল করছিল? নাকি তারা ডাকাতির ছক কষছিল?
এদিকে ইউপি গ্যাং এসেছিল কলকাতায়। কিন্তু সেই টিমে থাকা দুষ্কৃতীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা একেবারে অবাক করার মতো। পুলিশ ইতিমধ্য়েই তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করছে। কী কারণে এসেছিল তারা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে খবর পাওয়ার পরে অভিযানে নেমেছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। এরপর একে একে পাঁচজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তাদের জেরা করে যে তথ্য় মিলেছে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তা কার্যত অবাক করার মতো।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা প্রত্যেকেই বেশ উচ্চশিক্ষিত। কেউ বিটেক, কেউ আইটিআই। বিএ, বিএসসি অথবা বিকম পাসও রয়েছে।
এবার প্রশ্ন এত উচ্চশিক্ষিত যুবকরা কেন অস্ত্র নিয়ে কলকাতায় এলেন? সেই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর মেলেনি। এদিকে ওই যুবকদের অতীত অপরাধের কোনও রেকর্ড রয়েছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে। মুম্বই পুলিশের একটি টিমও কলকাতায় আসতে পারে। ধৃতদের জেরা করতে পারে তারাও।
ধৃতদের নাম শিবশঙ্কর যাদব, রাহুল যাদব, আদিত্য মৌরা, দীপ দয়াল গুপ্ত ও রুকেশ সাহানি। এই রুকেশ আবার বিটেক পাশ। সে নাকি এই গোটা টিমের একেবারে মাথায় রয়েছে। কিন্তু এরা কলকাতায় কী করছিল?
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এরা দিন দুয়েক আগে কলকাতায় এসেছিল। সম্ভবত শিয়ালদার একটা লজে তারা ঘাঁটি গেড়েছিল।
এরপর এসটিএফ অভিযানে নামে। আর সেই অভিনামে এসেছে বড় সাফল্য। এসটিএফ ৫জনকে গ্রেফতার করে। কেন এসেছিল তারা? ডাকাতির জন্য নাকি এর পেছনে অন্য় কোনও ছক ছিল?
পুলিশ জানিয়েছে, আমাদের কাছে কিছু তথ্য় ছিল। ইউপি থেকে গ্য়াং এসেছিল। আর্মস পাওয়া গিয়েছে তাদের কাছ থেকে। ওরা অপরাধের জন্য় এসেছিল।
পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, যেহেতু ওদের কাছে অস্ত্র রয়েছে আমাদের অনুমান অপরাধ করার জন্য় এসেছিল ওরা।
জয়েন্ট সিপি ক্রাইম জানিয়েছেন, পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র , ছুরি মিলেছে। তবে ওরা বেশ উচ্চশিক্ষিত। শিক্ষাগত যোগ্য়তার কথা তারা জানিয়েছে।