নিজামুদ্দিনের তবলিগ জামাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কারা যোগদান করেছিলেন তা জানতে মুসলিমদের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন রাজ্যের আমলা ও পুলিশ আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে এখনো পর্যন্ত ৭৩ জনের খোঁজ মিলেছে। তাদের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেনটাইনে থাকতে বলা হয়েছে। ওই জামাতে যোগ দেওয়ার পর এখনো পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ এর কাছাকাছি।
গত ১৩ থেকে ১৫ মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিনের দরগায় আয়োজিত হয় তবলিগ জামাত। সেখানে হাজির ছিলেন ভিনদেশের মুসলিম ধর্মপ্রচারকরাও। ওই অনুষ্ঠানে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, কাজাকিস্থান থেকে মানুষ যোগ দিতে এসেছেন। প্রায় ২,৫০০ লোকের জমায়েত হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
ওই ধর্মসভা থেকে ফেরার পর শ্রীনগরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ১ জনের। সোমবার তেলেঙ্গানা সরকার জানিয়েছে নিজামুদ্দিনের জামাত ফেরত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে সেরাজ্যে। এর পরই প্রশাসনের টনক নড়ে।
মঙ্গলবার এক টুইটে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘নিজামুদ্দিনের জামাত ফেরত প্রত্যেককে চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। এদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে।’ তবে কত জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে তা জানাননি তিনি।
সূত্রের খবর, এখনো পর্যন্ত ৭৩ জনকে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। বিভিন্ন থানাকে তাদের এলাকার রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। তবে জামাতে যোগদানকারীর সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি ওয়াকিফহাল মহলের।
আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, অন্তত ২,৫০০ জন ওই জামাতে যোগ দেন। গোটা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় পুলিশের অনুমতি নিয়ে। গত ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর ডাকে ‘জনতা কার্ফু’ পালন করেন তারা। তার পর ২৩ মার্চ অনেকে বাড়ির পথ ধরেন। ২৪ মার্চ ফের লকডাউন জারি হলে পথে আটকে পড়েন অনেকে। দিল্লি প্রশাসন সূত্রের খবর, নিজামুদ্দিনের জামাতে অংশগ্রহণকারী অনেকে এখনো আটকে রয়েছেন সেখানে।