ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুকে ঘিরে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তারইমধ্যে এবার ফের পুলিশের বিরুদ্ধে এক যুবককে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল। গল্ফগ্রিন থানার পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ওই থানার ৩ পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক, এক পুলিশ কনস্টেবল এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার।
অভিযোগ, গত ৩১ জুলাই আজাদগড়ের বাসিন্দা দীপঙ্কর সাহাকে কয়েকজন ব্যক্তি পুলিশ পরিচয় দিয়ে থানায় ডেকে নিয়ে যায়। পরিবারের দাবি, যারা থানায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন তারা বলেছিলেন ‘বড়বাবু থানায় ডাকছেন।’ এরপর ওই রাতে গুরুতর জঘম অবস্থায় বাড়ি ফেরেন দীপঙ্কর। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ তাকে বাড়ির কিছুটা আগেই ছেড়ে দিয়েছিল। দীপঙ্কর তার পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, পুলিশ কর্মীরা তাকে মারধর করেছেন। তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে দাবি পরিবারের। এরপর ওই দিন রাতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় দীপঙ্করের। পরে ২ আগস্ট তাকে শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, তার কব্জির হাড়ে চির ধরেছে।
এরপর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হলে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। তখন তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।পরিবারের অভিযোগ, পুলিশি অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে দীপঙ্করের। এ নিয়ে তারা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। ইতিমধ্যে ডিসির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। সেখানে এলাকার ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি মেডিক্যাল রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক খুনের তত্ত্ব উঠে আসছে। পরিবারের দাবি, দীপঙ্করের দাদা, রাজীব সাহা পুরভোটে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। ফলে সেই কারণেই তার এই পরিণতি কিনা তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।