প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেই চরম অচলাবস্থা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। গত বৃহস্পতিবার নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে নতুন অন্তবর্তী সরকার গঠন হয়েছে। তারপরেও হিংসা থামছে না বাংলাদেশে। এখনও জ্বলছে দেশটির বিভিন্ন প্রান্ত। এই অবস্থায় গত কয়েকদিন ধরেই প্রাণভয়ে ভারতে পালিয়ে আসার চেষ্টা করছন অসংখ্য বাংলাদেশি নাগরিক। সেই আবহে এবার ওড়িশায় বাংলাদেশি সন্দেহে পশ্চিমবাংলার পরিযায়ী শ্রমিককে মারধর করার অভিযোগ উঠল। তারপরেই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জল পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা বাংলাদেশিদের? কড়া নজর ভারতের, মৎস্যজীবীদের সতর্কতা
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে যে ওড়িশায় একজন সাইকেলে মনোহরি সামগ্রী বিক্রি করা এক বিক্রেতাকে মারধর করা হচ্ছে। এক ব্যক্তি তাঁকে মারধর করছেন আর আধার কার্ড দেখতে চাইছে। আর আধার কার্ড দেখাতে না পারায় তার উপর বেড়েই চলেছে মারধর। পরে জানা যায়, আক্রান্ত ওই ব্যক্তি একজন বাঙালি। তবে শুধু এই ঘটনায় নয়, নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতির পরেই ওড়িশায় বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকরা সেখানে হিংসার মুখে পড়ছেন। এই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে ওড়িশায়।
এদিকে, এই ধরনের ঘটনার কথা জানতে পেরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি শাসিত ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝিকে ফোন করেন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশায় যাতে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর এই ধরনের মারধরের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে আর্জি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই আর্জির পরেই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়টি সরকারের তরফে দেখা হবে। এর পাশাপাশি ওই শ্রমিকরা যাতে বাংলায় ফিরে এসে পুনরায় এখানেই কাজ করেন, সে বিষয়টি নিয়েও আহ্বান জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে বাংলা পক্ষ।