আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবিতে বুধবার ছিল ‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন অভিযান। সেই অভিযানে বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের খণ্ড যুদ্ধ দেখা গিয়েছিল। তারই মধ্যে কলকাতার একটি মেট্রো স্টেশনে হকি স্টিক নিয়ে কলকাতা পুলিশকে এক আন্দোলনকারী যুবককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। তাই নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতারা। কলকাতা পুলিশ ‘গুন্ডাগিরি’ করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচী। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'ছাত্রদরদী' সিপিএম কি বাংলা বনধকে সমর্থন করবে? কংগ্রেস কী ভাবছে?
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন বিজেপি নেতা ( সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা)। তাতে দেখা যাচ্ছে, মেট্রো স্টেশনের মধ্যে এক যুবককে মেঝেতে ফেলে হকি স্টিক দিয়ে মারধর করছেন কলকাতা পুলিশের উর্দিধারী দুজন। বিজেপির দাবি, পুলিশের মারে জখম হওয়া ওই ব্যক্তির নাম বাপি প্রামাণিক। তিনি নদিয়ার কালীগঞ্জে জেলা পরিষদ আসনে লড়েছিলেন। বাপি বিজেপির যুব মোর্চার নদিয়া উত্তরের সাধারণ সম্পাদক। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে ঢুকে স্টেশন মাস্টারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। অভিযোগ, পুলিশের মারে যখন হয়েছেন ওই যুবক। তাকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, মেট্রো স্টেশন কেন্দ্রের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ছে। তাহলে সেখানে কীভাবে পুলিশ সেখানে ঢুকে পড়ে এভাবে মারধর করল। যদিও ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, যুবককে মারধর করার সময় কোনও আরপিএফ ছিল না। তবে সেখানে অবস্থিত কয়েকজন যুবককে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ করছেন।
তবে এই ভিডিয়ো সামনে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে কলকাতা পুলিশ।বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে লিখেছেন, প্রতিবাদ দমনে ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুলিশ। প্রশ্ন তুলেছেন, পুলিশের হকি স্টিক ব্যবহার করা নিয়ে। একইসঙ্গে, রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি। কৌস্তুভ বাগচী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘অনাচার চরমে। সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের মধ্যে পুলিশ বিস্ময়করভাবে হকি স্টিক ব্যবহার করে বিজেপি কর্মীকে মারধর করছে। দাবি একটাই মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ চায়।’