গেস্ট হাউসে ঢুকে যুবককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূল কাউন্সিলরের দিকে। জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে লেকটাউনে। দমদম পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ প্রসাদের নেতৃত্বে যুবককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আর মারধর করার পর উল্টে আক্রান্ত যুবককেই গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সালিশি সভার নামে ফের তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত এক মেয়েকে মারধরকে কেন্দ্র করে। সেই ঘটনার পরেই তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ২০ থেকে ৩০ জন গেস্ট হাউসে ঢুকে যুবককে মারধর করে। গেস্ট হাউসের মালিক অমরজিৎ ঝাঁ জানান, বাইরে কোনও একটি ঘটনা ঘটেছিল তা তিনি জানতেন না। তার মধ্যে থেকে কিছু যুবক জন্মদিন পালন করার জন্য গেস্ট হাউসে আসে। নিয়ম মেনে সমস্ত নথিপত্র যাচাই করে তাদেরকে দুটো রুম দেওয়া হয়েছিল। তবে হঠাৎ করে সেখানে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ প্রসাদ ও তার দলবল গেস্ট হাউসে আসে। পুলিশের সামনেই জন্মদিন পার্টি করতে আসা যুবকদের মারধর করা হয়। সেই মারধরের দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ প্রসাদ নিজেই শাস্তির নামে মারধর করছেন যুবককে। এরপর যারা জন্মদিন পালন করতে এসেছিলেন তাদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে লেকটাউন থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিশ্বজিৎ প্রসাদের দলবল।
এদিকে, কাউন্সিলর স্বীকার করেছেন যে তিনি শুধু চড় মেরেছেন। তাঁর দাবি, অনেক লোকজন ছিল। তারা সকলেই যুবকদের উপর চড়াও হয়েছিল। কিন্তু, তিনি যুবককে চড় মেরে বাঁচিয়েছেন। পরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। কাউন্সিলরের দাবি, দুই যুবক এলাকারই এক মেয়ে ও এক ছেলেকে মারধর করেছিল। ঘটনায় আক্রান্ত মেয়েটি তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে তিনি অভিযুক্ত যুবককে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু, যুবক দেখা করতে চাননি। তাই তিনি পুলিশের কাছে বিষয়টি জানান। পুলিশের সূত্রে টাওয়ার লোকেশন ট্রাক করে তিনি জানতে পারেন ওই গেস্টহাউসে রয়েছেন যুবক। এরপর দলবলে নিয়ে কাউন্সিলর সেখানে পৌঁছন। তখন তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তবে প্রশ্ন উঠছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরিবর্তে কেন তৃণমূল কাউন্সিলর আইন তুলে নিলেন। এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ওই গেস্ট হাউসের মালিক।