সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হল সোনারপুর থানায়। তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য রেখেছেন এই অভিযোগ তুলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। বাম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্য়ায় লাভলির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তিনি লিখেছেন, গত ১ সেপ্টেম্বর সোনারপুর দক্ষিণের বর্তমান বিধায়ক লাভলি মৈত্র উসকানিমূলক বক্তব্য রেখেছিলেন। সায়ন তাঁর অভিযোগে লিখেছেন, বিধায়ক আমাকে ও আমার সিনিয়র কমরেড সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য রেখেছেন। প্রতিহিংসা নেওয়ার জন্য তিনি সেখানে বক্তব্য রেখেছেন। আমরা আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিভিন্ন মিছিলে অংশ নিচ্ছি।
সায়ন উল্লেখ করেছেন, কিছুদিন আগে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও প্রতিবাদকারীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য় আহ্বান করেছিলেন। যে প্রতিবাদকারীরা আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধেই তিনি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বলেছিলেন। লাভলি মৈত্রও সেই ধরনের মন্তব্য করেছেন যা উসকানিমূলক।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন লাভলি মৈত্রর স্বামী আইপিএস সৌম্য রায় অত্যন্ত প্রভাবশালী। তিনি আমার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মিথ্যে মামলা আনতে পারেন।
সেই সঙ্গেই সায়ন লিখেছেন লাভলি মৈত্র যে মন্তব্য করেছেন তার জেরে দাঙ্গার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আমার উপর হামলা হতে পারে। আমাদের দলীয় কর্মীদের উপর হামলা হতে পারে।
লাভলি মৈত্রর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি আবেদন করেছেন।
এবার প্রশ্ন লাভলি মৈত্র ঠিক কী বলেছিলেন?
সোনারপুরে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লাভলি বলেছিলেন, বদল তো ২০১১তে হয়েছিল। ২০২৪ এর বদলা হবে। সেই সঙ্গেই তিনি বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দিকে যদি কেউ আঙুল তোলে সেই আঙুল কীভাবে নামাতে হয় তা আমার জানি। এখানেই শেষ নয়, তিনি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও সায়ন বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম উল্লেখ করে বলেছিলেন, বদলা না নেওয়ার কারণেই তাঁরা এখনও ঘুরে বেড়ান।
এদিকে একদিকে যখন আরজি কর কাণ্ড নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা সরকারের তখন লাভলি কাঞ্চনদের এই সব মন্তব্যের জেরে ক্রমেই অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের অন্দরে। ইতিমধ্য়েই এনিয়ে সতর্ক করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘দল নির্বিশেষে জনপ্রতিনিধিদের আরও নম্র এবং সহানুভূতিশীল হতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যেকের কাছে আমি আর্জি জানাব যে তাঁরা যেন স্বাস্থ্য সমাজ বা নাগরিক সমাজের কারও বিরুদ্ধে আজেবাজে মন্তব্য না করেন। প্রত্যেকের প্রতিবাদ এবং মতপ্রকাশের অধিকার আছে।’